মিসরে খুলে দেওয়া হলো ৪৭০০ বছরের পিরামিড

মিসরের জোজার পিরামিডকয়েক বছর সংস্কার কাজের পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো মিসরের প্রাচীনতম পিরামিড। এর নাম ‘জোজার’। এটি প্রায় ৪ হাজার ৭০০ বছরের পুরনো। কেবল পাথর দিয়ে নির্মিত ছয় সোপানের এই পিরামিড।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ‘জোজার’ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তাদের দাবি, প্রস্তর দিয়ে বানানো এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ।

আধুনিক কায়রোর দক্ষিণে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান মেমফিসের অদূরে সাকারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কমপ্লেক্সে নির্মিত হয় এই কাঠামো। এর উচ্চতা ২০৭ ফুট (৬৩ মিটার)। পিরামিডটিকে ঘিরে ছিল মিলনায়তন ও দরবার।

মিসরের জোজার পিরামিডের অভ্যন্তরপ্রাচীন মিসরের তৃতীয় রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা জোজারের শাসনামলে (২৬৫০-২৫৭৫ খ্রিষ্টপূর্ব) এই স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। তার মুখ্যমন্ত্রী ইমহোটেপ ছিলেন ঋষি, উজির ও জ্যোতিষী। কাঠামোটির স্থপতি ভাবা হয় তাকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, জোজার পিরামিডের সংস্কার শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে। কিন্তু ২০১১ ও ২০১২ সালে মিসরে অভ্যুত্থানের কারণে তা ব্যাহত হয়। রাষ্ট্রপতি হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১৩ সালে ফের কাজে হাত দেন শ্রমিকরা।

মিসরের জোজার পিরামিডের অভ্যন্তরআল-আহরামের তথ্যানুযায়ী, প্রাচীন স্থানটির বহির্ভাগ, প্রবেশপথের সিঁড়ি, সমাধি কক্ষ ও করিডোরসহ ধসে পড়া সিলিং ব্লকগুলো সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্টরা ভাঙা পাথর সরিয়েছে। এতে প্রায় ১৬ ফুট উঁচু গ্রানাইট পাথরের কফিন উন্মোচিত হয়েছে। এর ওজন ১৭৬ টন।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সংস্কারের অংশ হিসেবে নতুন আলোক ব্যবস্থা এবং প্রতিবন্ধীদের প্রবেশের পথ যুক্ত করা হয়েছে।

আল-আহরামকে মিসরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী খালেদ আল-ইনানি জানান, সংস্কার কাজে ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ ৫৬ কোটি টাকারও বেশি।

সূত্র: সিএনএন