বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও হজরত খানজাহান আলী (র.) মাজার পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়। এছাড়া বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা চন্দ্রমহল, সুন্দরবন রিসোর্টসহ কয়েকটি পর্যটন স্পটে ভিড় থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখন লোকজন তেমন একটা নেই বললেই চলে।
মোংলার মা-বাবা ট্যুরিজমের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল্লাহ নান্টু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের পূর্বনির্ধারিত ভ্রমণসূচি বাতিল করেছেন। এ কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরা।’
তাজমহলের আদলে তৈরি করা বাগেরহাট সদর উপজেলার চন্দ্রমহল ইকো পার্কের ব্যবস্থাপক কাবুল শেখের দাবি, ‘গত কয়েকদিনে অনেক বিদ্যালয় বনভোজন করবে জানিয়েও পরে তা বাতিল করেছে। আর বিদেশি পর্যটক তো আসছেই না।’
বিশ্ব ঐতিহ্য হওয়ায় প্রতি বছর ষাটগম্বুজ মসজিদে অনেক বিদেশি আসে। এখানকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত ৭ মার্চ পর্যন্ত পর্যটক সমাগম আশানুরূপ ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিস্তারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। বিদেশিরা নেই বললেই চলে, দেশি পর্যটকও অনেক কম। তার কথায়, ‘এখন পর্যটন মৌসুম, কিন্তু এমন মন্দাবস্থা চলতে থাকলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।’