সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলেন, ‘আউটবাউন্ড ও ইনবাউন্ড পর্যটনের একটি বড় বাজার চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভারত ও ইতালি। করোনা ভাইরাসের কারণে উভয় পর্যটনে বড় ধাক্কা লেগেছে। এতে আমাদের ট্যুর অপারেটররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ভাইরাস আতঙ্কে নেপাল, ভুটান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও এশিয়ার প্রধান পর্যটন গন্তব্যগুলোতে টুর প্যাকেজ টিকিট বাতিল করেছে প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি ভ্রমণকারী। একইভাবে বাংলাদেশে আসার পূর্ব নির্ধারিত ভ্রমণ বাতিল করেছে অনেক বিদেশি পর্যটক। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে টোয়াবের সদস্যরা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টোয়াব আয়োজিত বাংলাদেশের দশম পর্যটন মেলা ‘শেয়ারট্রিপ বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২০’ আগামী ৩-৫ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সব প্রস্তুতি থাকার পরেও মেলা আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ২৯-৩১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে টোয়াবের পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। তাদের সুপারিশগুলো হচ্ছে—সহজ সুবিধায় ও কম খরচে ভিসা দেওয়া; বন্দর এবং বিমানবন্দরগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ শিথিল করা; পর্যটকদের ওপর আরোপিত ট্যাক্স কমানো; ভ্রমণ স্থানগুলোর প্রচার বরাদ্দ বাড়ানো; বিমানের টিকিটের ট্যাক্স কমানো; সরকারের পক্ষ থেকে অপারেটরদের ইনসেনটিভ প্রদান করা এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সহ-সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী প্রমুখ।