ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পতাকায় উদ্ভাসিত ম্যাটারহর্ন পর্বত

ম্যাটারহর্ন পর্বতে জাপান, ভারত, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাসুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ম্যাটারহর্ন পর্বতের উচ্চতা ১৪ হাজার ৬৯২ ফুট। এর চূড়ায় উদ্ভাসিত হলো ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা। এছাড়া ফুটে উঠেছিল কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবকে জয় করার আশা ও মনোবল ধরে রাখার বার্তা।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি সংহতির জানাতেই আলোক প্রক্ষেপণ করে পতাকাগুলো দেখানো হয় ম্যাটারহর্নে। এর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে কয়েক ঘণ্টা। কারণ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আমেরিকায়। পরদিন এই পর্বতে ফুটে ওঠে জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির পতাকা।

ম্যাটারহর্নের নিচে অবস্থিত জেরমাত জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ‘জেরমাত ম্যাটারহর্ন’ নামের একটি পর্যটন সংগঠনের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘করোনায় আক্রান্ত সব মানুষের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। আশা করি, ম্যাটারহর্নের তলদেশে আবারও মিলিত হবো। আমরা একসঙ্গে আছি।’

ম্যাটারহর্ন পর্বতে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও স্পেনের পতাকাম্যাটারহর্নে এই প্রদর্শনীর নেপথ্যে আছেন বিখ্যাত আলোকশিল্পী গেরি হফসেটার। ৫৮ বছর বয়সী এই মানুষটি পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে অস্থায়ী স্থাপনাশিল্প তৈরির জন্য বিখ্যাত। ২০১২ সাল টাইটানিক ডুবির শতবর্ষে অ্যান্টার্কটিকের তুষারস্তূপে জাহাজটির ছবি ফুটিয়ে তোলেন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে যারা লড়ছেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি জেরমাত শহরের সংহতির অংশ হিসেবে গত ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন দৃশ্যে ম্যাটারহর্ন পর্বতকে আলোকিত করছেন গেরি হফসেটার। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ এপ্রিল প্রদর্শিত হয়েছে ‘হোপ’ (আশা) ও ‘অল অব আস’ (আমরা সবাই) হ্যাশট্যাগ। মানুষকে ঘরে থাকার উৎসাহ দিতে দেখানো হয় ‘স্টে হোম’ হ্যাশট্যাগ। এছাড়া সূর্যরশ্মি, সংগীতের প্রতীক, হ্যাপি ইস্টার, একে অপরের প্রতি সহযোাগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ছবি ফুটিয়ে উঠেছে আলোয়। 


পর্যটকদের জন্য ম্যাটারহর্ন পর্বতে উৎসাহমূলক বার্তাজনপ্রিয় এই পর্যটন গন্তব্যে আরও ফুটে ওঠে ‘ড্রিম নাউ, ট্রাভেল লেটার’ বার্তা। অর্থাৎ ‘এখন স্বপ্ন দেখুন, পরে বেড়ানো যাবে।’

জেরমাত ম্যাটারহর্ন ওয়েবসাইটে পর্যটকদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘জানি অনেকদিন হয়ে গেলো এখানে বেড়ানো হচ্ছে না আপনাদের। চিন্তা নেই, আমাদের আবারও দেখা হবে। আপাতত সুস্বাস্থ্যই সবার আগে। তবে স্বপ্ন দেখতে বারণ নেই। আমরা এই কঠিন সময়ে আপনাদের পাশে আছি এবং ম্যাটারহর্ন থেকে শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছি। পর্বতে ওয়েবক্যাম সেটআপ করা হয়েছে, তাই ঘরে বসেই এটি দেখা যাবে।’

তথ্যসূত্র: সিএনএন