করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি সংহতির জানাতেই আলোক প্রক্ষেপণ করে পতাকাগুলো দেখানো হয় ম্যাটারহর্নে। এর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে কয়েক ঘণ্টা। কারণ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আমেরিকায়। পরদিন এই পর্বতে ফুটে ওঠে জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির পতাকা।
ম্যাটারহর্নের নিচে অবস্থিত জেরমাত জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ‘জেরমাত ম্যাটারহর্ন’ নামের একটি পর্যটন সংগঠনের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘করোনায় আক্রান্ত সব মানুষের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। আশা করি, ম্যাটারহর্নের তলদেশে আবারও মিলিত হবো। আমরা একসঙ্গে আছি।’
করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে যারা লড়ছেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি জেরমাত শহরের সংহতির অংশ হিসেবে গত ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন দৃশ্যে ম্যাটারহর্ন পর্বতকে আলোকিত করছেন গেরি হফসেটার। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ এপ্রিল প্রদর্শিত হয়েছে ‘হোপ’ (আশা) ও ‘অল অব আস’ (আমরা সবাই) হ্যাশট্যাগ। মানুষকে ঘরে থাকার উৎসাহ দিতে দেখানো হয় ‘স্টে হোম’ হ্যাশট্যাগ। এছাড়া সূর্যরশ্মি, সংগীতের প্রতীক, হ্যাপি ইস্টার, একে অপরের প্রতি সহযোাগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ছবি ফুটিয়ে উঠেছে আলোয়।
জেরমাত ম্যাটারহর্ন ওয়েবসাইটে পর্যটকদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘জানি অনেকদিন হয়ে গেলো এখানে বেড়ানো হচ্ছে না আপনাদের। চিন্তা নেই, আমাদের আবারও দেখা হবে। আপাতত সুস্বাস্থ্যই সবার আগে। তবে স্বপ্ন দেখতে বারণ নেই। আমরা এই কঠিন সময়ে আপনাদের পাশে আছি এবং ম্যাটারহর্ন থেকে শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছি। পর্বতে ওয়েবক্যাম সেটআপ করা হয়েছে, তাই ঘরে বসেই এটি দেখা যাবে।’
তথ্যসূত্র: সিএনএন