করোনার বিস্তার রোধে ১ লাখ টিউলিপ কেটে ফেললো জাপান!

টিউলিপ কেটে ফেলার পর সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারকরোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জাপানে কেটে ফেলা হয়েছে ১ লাখেরও বেশি টিউলিপ। কোভিড-১৯ সংকটে জনসমাগম যেন না হয় সেজন্য পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে এই পদক্ষেপ।

টিউলিপ ফোটার পর সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারে পর্যটকরাজাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারে এখন কোনও টিউলিপ নেই। পুরো মাঠে শুধু সবুজ ডালপালা। ফুল কেটে ফেলার পাশাপাশি সাকুরা ফুরুসাতো উদ্যান কর্তৃপক্ষ বার্ষিক টিউলিপ উৎসব বাতিল করেছে।

টিউলিপ ফোটার সময় সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারকরোনার বিস্তার রোধে এত বিপুলসংখ্যক টিউলিপ কেটে ফেলাকে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফুলগুলো স্থানীয় কিছু কিন্ডারগার্টেনে দান করে দেওয়া হয়েছে।

টিউলিপ কেটে ফেলার পর সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারসাধারণত বছরের এ সময়ে নানান রঙের বিপুলসংখ্যক টিউলিপে ঢাকা থাকে সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারের বিস্তীর্ণ মাঠ। এর মোট আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। ফুল ফোটার পর টিউলিপের বাগান দেখতে প্রচুর পর্যটক উপস্থিতি দেখা যেতো।

টিউলিপ কেটে ফেলার পর সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারজাপানে গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তবুও সাকুরা ফুরুসাতো হিরোবার মতো জায়গা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মানুষ যেন সমবেত হওয়ার উপলক্ষ্য না পায় সেজন্য ফুল কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

টিউলিপ ফোটার সময় সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারএ প্রসঙ্গে সাকুরা শহরের পর্যটন বোর্ডের কর্মকর্তা সাকিহো কুসানো বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ফুলের মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী সাকুরা ফুরুসাতো হিরোবা উদ্যানে ভিড় জমাতো। এবারও ব্যতিক্রম হতো না। ফলে জনসমাগম হওয়ার আশঙ্কায় টিউলিপ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না।’

টিউলিপ কেটে ফেলার পর কিন্ডারগার্টেনে দান করে দেওয়া হয়েছেসাকুরা ফুরুসাতো হিরোবা এখন আর মোটেও উপভোগ্য নয়। একটি অংশ হয়ে গেছে কর্দমাক্ত। দৃষ্টিনন্দন মাঠটি এখন মরুভূমির মতো। টিউলিপের গালিচায় আলতো করে হাঁটতে ফুলপ্রেমীদের আরও একবছর অপেক্ষা করতে হবে।

টিউলিপ ফোটার সময় সাকুরা ফুরুসাতো স্কয়ারতথ্যসূত্র: এএফপি