আইফেল টাওয়ার আবারও খুলছে ২৫ জুন

আইফেল টাওয়ারফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিখ্যাত স্থাপনা আইফেল টাওয়ার আগামী ২৫ জুন পর্যটকদের জন্য আবারও খুলবে। এতে বেড়াতে আসা ১১ বছরের বেশি বয়সীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আইফেল টাওয়ারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নির্দেশিকা রয়েছে। জানা গেছে, লিফটের পরিবর্তে আপাতত সিঁড়ি ব্যবহার করা যাবে। শীর্ষ ফ্লোর আপাতত বন্ধ থাকবে। কারণ টাওয়ারের দোতলা থেকে শীর্ষ ফ্লোরে ওঠার লিফটে ছোট জায়গা, তাই দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়।

দর্শনার্থীদের ওঠানামার সময় সিঁড়িতে সাক্ষাৎ হবে না। পূর্বদিকের সিঁড়ি দিয়ে তারা উঠবেন আর নামার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে পশ্চিম পাশের সিঁড়ি। একই সময়ে প্রতি ফ্লোরে দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফ্লোরে জনসাধারণের চলাচলের জায়গা প্রতিদিন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সুবিধার্থে চিহ্ন যুক্ত করেছে টাওয়ার পরিচালনা কমিটি।

আইফেল টাওয়ারকরোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ১৩ মার্চ থেকে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে আইফেল টাওয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনও এতটা সময় ধরে বন্ধ ছিল না এটি।

১০ টন মেটাল ব্যবহার করে আইফেল টাওয়ারের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৮৮৯ সালে। প্রতি বছর ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ এখানে বেড়াতে আসে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হওয়া পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে এটি অন্যতম।

এদিকে ফ্রান্স সরকার গত মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে অবরুদ্ধ অবস্থা (লকডাউন) শিথিল করছে। ফলে প্যারিসের হোটেল, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ ফের খুলেছে।

প্যারিসের বিভিন্ন জাদুঘর ও পর্যটকদের আকর্ষণ পর্যায়ক্রমে আবারও চালু হচ্ছে। এক্ষেত্রে সবাই মেনে চলছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। গত ৬ জুন প্যালেস অব ভারসাইয়ের জাদুঘর ও বাগান পুনরায় খুলেছে।

আইফেল টাওয়ারআগামী ৬ জুলাই শিল্পপ্রেমীদের জন্য আবারও খুলবে লুভর জাদুঘরের দরজা। আগামী ১৫ জুন থেকে অনলাইনে বুকিং দেওয়া যাবে। ইতোমধ্যে লুভরের সামনের মেরি-গো-রাউন্ড ও তুলেরি গার্ডেনস খুলেছে।

তবে প্যারিসের আরেক বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ ‘আর্ক ডি ত্রিওম্ফ’ আবারও খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। ফরাসি বিপ্লব ও নেপোলিয়োনের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন যুদ্ধে শহীদদের সম্মান জানাতে তৈরি হয় এই স্থাপনা। এর অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অংশে ফ্রান্সের সব বিজয় ও জেনারেলদের নাম রয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভের নিচের অংশটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত নাম না অজানা সৈন্যদের সমাধি।


তথ্যসূত্র: ভ্যারাইটি