বেলজিয়াম এক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। দেশীয় পর্যটনের বিকাশে অন্যরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। এর অংশ হিসেবে সব নাগরিক বিনামূল্যে ১০ বার ট্রেনে যাতায়াতের পাস পাচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, অভ্যন্তরীণ পর্যটনের বিকাশে চাকরিজীবীদের শুল্কমুক্ত ৩০০ ইউরো তথা ৩০ হাজার টাকা করে (ভাউচার) দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সিনেমা হল, মঞ্চ, জাদুঘর, রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করা যাবে।
কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে তিন মাস ধরে লকডাউন ছিল বেলজিয়ামে। গত ৮ জুন তৃতীয় ধাপে তা শিথিল করা হয়। ফলে ওইদিন থেকে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও হোটেল ফের খুলেছে। তবে সবখানে সামাজিক দূরত্ব (দেড় মিটার) বজায় রাখা হচ্ছে। সব দোকানপাট রাত ১টার মধ্যে বন্ধ করা বাধ্যতামূলক।
রেল পাস কার্যকর থাকবে ১ জুলাই থেকে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একটি পাস দিয়ে বেলজিয়ামের যেকোনও গন্তব্যে একজন ব্যক্তি ১০ বার ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের বসন্তে সবাইকে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। তাই বিনামূল্যে রেল পাস পেয়ে নিরাপদে ভ্রমণ করার সম্ভাবনা রয়েছে অসংখ্য মানুষের।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস এবং দেশটির বড় শহর গেন্ট, ব্রুজ ও আন্টওয়ার্পসহ সবখানে ট্রেনে চড়ে অনায়াসে যাতায়াত করা যায়। সেই সঙ্গে আর্ডেনসস অঞ্চলের পাহাড়ি বনভূমিতে যেতে পারেন ভ্রমণপিপাসুরা।
অনেক দেশ গণপরিবহনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়া রেল সংস্থাগুলো সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় থাকে এমন আসনের মডেল নিয়ে ভাবছে। লন্ডন ও চীন ভিত্তিক ডিজাইন প্রতিষ্ঠান প্রিস্টম্যানগুড প্রস্তাব দিয়েছে, ট্রেনে সামাজিক দূরত্বের জন্য বাইক রাখার জায়গা ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ট্রাভেল