পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় গড়ে উঠছে একটি জাদুঘর। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুর কাজের পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১-এ চলছে প্রাণী ও প্রাকৃতিক সম্পদের নমুনা সংগ্রহ। এক্ষেত্রে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাদুঘরের স্থানীয় এলাকাসহ সারাদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ২ হাজার ২২২টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কার্যক্রমটি চলবে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।
এসব নমুনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গঙ্গা নদীর শুশুক, চিতাবাঘ, বাবুবাটান পাখি, হলুদ সাপ, বান মাছ, ইলিশ মাছ, মাগুর মাছ ইত্যাদি।
বর্তমানে যেসব প্রাণীর দেহ সংগ্রহে আছে সেগুলোর সঙ্গে ৬১ ধরনের ৭৪টি মাছ ধরার সরঞ্জামাদি, ২৬ ধরনের পাখির বাসা, ১৭ ধরনের পাখির ডিম ও ৮ রকমের কঙ্কাল প্রক্রিয়াজাতকরণ হচ্ছে। এভাবে ২০০ থেকে ৫০০ বছর পর্যন্ত প্রাণীর মরদেহ রাখা যায়।
পদ্মা সেতু জাদুঘরের কিউরেটর আনন্দ কুমার দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য জাদুঘর উন্মুক্ত করে দেওয়া যাবে যদি কর্তৃপক্ষ চায়। তবে তার আগে অবকাঠামোর উন্নয়ন দরকার। আমরা আশা করছি, দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু জাদুঘর।’