ঈদুল আজহার পর পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে আশার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ পর কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করেছি আমরা। এর সদস্যরা সংশ্লিষ্টদের কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কক্সবাজার পুনরায় চালু হবে। এজন্য পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ, পর্যটক ও পরিবহনসহ সবাইকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলার শর্ত আরোপ করা হচ্ছে।’
গত রোজার ঈদের মতো এবারের ঈদুল আজহায় চারপাশ পর্যটকশূন্য। এভাবে দুটি ঈদ কেটে যাচ্ছে তা আগে কখনও দেখেননি কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার। তার দাবি, পর্যটন থমকে থাকায় জেলার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। প্রশাসনের আশ্বাস অনুযায়ী ঈদের পর হোটেল-মোটেল চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ মনে করেন, ‘আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন খুলে দিয়েছে, পর্যটন শিল্পকে সেভাবেই উন্মুক্ত করে দিতে পারে।’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শাকের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদের পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হলে পর্যটকদের সৈকতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এ নিয়ে প্রস্তুতি আছে আমাদের।’