ভুতিয়ার বিলে প্রতিবছরের বর্ষার মতো এবারও পদ্মফুল ফুটেছে। এর মাধ্যমে মৌসুমি কর্মসংস্থান চাঙা হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে তেরখাদার সুনাম। ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতিতে নৌকার কদর বেড়েছে। বিলে পদ্মফুলের পুরো অংশ নৌকায় ঘুরিয়ে দেখাতে ২০০-৫০০ টাকা গুনতে হবে। একটি ছোট নৌকায় দুই-তিনজন ওঠা যায়।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভুতিয়ার বিলের আয়তন প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর। এর মধ্যে মাত্র ৪০-৫০ হেক্টর জমিতে পদ্মফুল ফোটে। বাকিটুকু শ্যাওলা ও আগাছায় ভরা।
খুলনা শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে তেরখাদা বাজার। বাস বা টেম্পুতে যেতে ঘণ্টাদেড়েক লাগে। জেলখানা ঘাট পেরিয়ে সেনের বাজার থেকে তেরখাদাগামী বাসে উঠলে হাড়িখালী নামতে হবে। সেখান থেকে ইজিবাইকে চরকুশলা গ্রামের পদ্মবিলে যাওয়া যায়।
বিলে ঘুরতে আসা ইয়াসিন আরাফাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডিঙি নৌকায় ভেসে জলের ছন্দতালে পদ্মফুল স্পর্শ করার অনুভূতি অন্যরকম।’
পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে আনন্দিত সুমাইয়া রহমান আঁখি। তার কথায়, ‘পদ্মফুলের জন্য ভুতিয়ার বিল অসাধারণ লাগে। পদ্মপাতার ওপর জল টলমল করে। পাখি উড়ে বেড়ায়। কচুরিপানার মধ্য দিয়ে ছোট ডিঙি নৌকায় ভেসে ভেসে এসব দৃশ্য দেখে মনে অন্যরকম দোলা লাগে।’
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর নির্বাচনি এলাকা তেরখাদা। তার দাবি, এখানে কোনও শিল্প কল-কারখানা নেই। স্থানীয়দের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি, মৎস্য ও ব্যবসা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভুতিয়ার বিল নিয়ে সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।