কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য

শালবন বিহার (ছবি: সাকিব আহমেদ নাসিম)কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের জন্য আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব দর্শনীয় স্থানে ফিরতে শুরু করেছে প্রাণচাঞ্চল্য। শালবন বৌদ্ধবিহার, ময়নামতি জাদুঘর, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়াসহ জেলার সব প্রত্নতাত্ত্বিক আকর্ষণ এখন উন্মুক্ত।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কুমিল্লার তথ্যানুযায়ী, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় দরজা খোলার প্রথম দিনেই প্রায় ৫০০ দর্শনার্থী ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনগুলো ঘুরে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন পর্যটকদের উপস্থিতির সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ফিরে এসেছে প্রাণের স্পন্দন।

দর্শনার্থী লিপি আক্তার মনে করেন, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোই প্রাচীন কুমিল্লার পরিচিতি বহন করে। ছয় মাস পর খুলেছে শুনে শালবন বৌদ্ধবিহারে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তিনি। তার কথায়, ‘ঐতিহাসিক এসব নির্দশনে বেড়ানোর পাশাপাশি এগুলোর ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন।’

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কুমিল্লার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে শালবন বৌদ্ধবিহারসহ কুমিল্লার সব প্রত্নতাত্ত্বিক সৌন্দর্য আবারও চালুর নির্দেশনা পেয়েছিলাম। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে এগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।’

অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক জানান, গত দুই দিনে প্রায় ১২০০ দর্শনার্থী শালবন বৌদ্ধবিহারের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন ঘুরে দেখেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারের মতোই শনিবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা তার। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পর্যটকদের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতো হতে পারে।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে শালবন বৌদ্ধবিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক সমাগম হতো। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কুমিল্লার বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সাধারণ মানুষের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।