লাল শাপলায় চোখ জুড়ানো গোপালগঞ্জের ২৫ বিল

গোপালগঞ্জের বিলে লাল শাপলাগোপালগঞ্জের সদরসহ কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অন্তত ২৫টি বিল এখন লাল শাপলায় রঙিন। এর মধ্যে অন্যতম জোয়ারিয়ার বিল, ছত্রকান্দার বিল, ডোংরাসুর বিল। এগুলোতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় লাল শাপলা। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন লালগালিচায় বিল ঢেকে আছে। বলা যায় লালে লালে একাকার। চারদিকে সবুজ মাঠ আর মাঝখানে লাল শাপলা পাখির চোখে দেখলে মনে হবে যেন বাংলাদেশের পতাকা।

শাপলা ফুলের চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন ভরে যায় ভ্রমণপিপাসুদের। বিলে তাই দূর-দূরান্ত থেকে বেড়াতে আসেন অনেকে। তাদের মধ্যে মেহেদী হাসনাত ও মিজানুর রহমানের কথায়, ‘বিভিন্ন বিলে ফুটে থাকা অসংখ্য লাল শাপলা দেখে মনে হয় যেন কোনও লাল শাড়ি পরা নববধূ দাঁড়িয়ে আছে! এখানে এলে মন ভরে যায়।’

গোপালগঞ্জের বিলে লাল শাপলাজানা গেছে, উপজেলার বিলগুলো সাধারণত ফসলি জমি। এসব বিলে বোরো মৌসুমেই শুধু ধান চাষ করেন কৃষকরা। প্রতিবছর বর্ষাকালে জমিতে পানি এলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় লাল শাপলা। অনেক আগে এসব বিলে সাদা ও সবুজ শাপলা জন্ম নিতো। তবে ১৯৮৮ সালের বন্যার পর থেকে শুধু লাল শাপলা জন্মায়।

বর্ষাকালে স্থানীয় খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের হাতে কোনও কাজ থাকে না। তারা বিলের শাপলা সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ফলে শাপলা ফুল যেমন বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে, একইসঙ্গে এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে। 

গোপালগঞ্জের বিলে লাল শাপলাগোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের বিভিন্ন বিলে জন্ম নেওয়া শাপলা একটি উপাদেয় সবজি হিসেবে পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, সিলিকন ও আয়োডিন রয়েছে; যা মানবদেহের জন্য উপকারী। পাশাপাশি বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হচ্ছে শাপলা ফুলের সুবাদে।’