পর্যটকদের জন্য ফের খুললো সুন্দরবন, মাস্ক-স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক

সুন্দরবনকরোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর আজ পর্যটকদের জন্য আবারও খুলে দেওয়া হলো বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মংলা থেকে আটজন যাত্রী নিয়ে কটকার পথে রওনা দেয় ‘আলোর কোল’ নামের একটি লঞ্চ। তারা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণে থাকবেন। এর আগে লঞ্চটি বনবিভাগ থেকে অনুমতি নিয়েছে।

ট্যুর অপারেটর বাংলাদেশ এক্সপেডিশনসের আব্দুল্লাহ আল মামুনের তথ্যানুযায়ী, আলোর কোল লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৮ জনের। তাই আটজনের বেশি পর্যটক নেওয়া হয়নি। লঞ্চটি করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা ও কচিখালী ভ্রমণ করবে। 
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবু নাসের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে পর্যটকরা বনে প্রবেশ করতে পারবেন। গত ২৯ অক্টোবর ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে সভা করে বিষয়টি জানিয়েছি আমরা। তবে একটি জাহাজে ৫০ জনের বেশি যাত্রী বহনের অনুমতি দেওয়া হবে না।’

পর্যটক, বন বিভাগের স্টক এবং জাহাজের শ্রমিক-কর্মচারীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, পাঁচটি শর্তে ফের সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো–

১. কোনও ট্রলারে ২০ জনের বেশি পর্যটক নেওয়া যাবে না।
২. পর্যটকরা খাবার ছাড়া অন্য কোনও পণ্য নিতে পারবেন না।
৩. প্রতিটি ট্রলার ও জাহাজে পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৪. হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বর্জ্য ফেলার জন্য ঝুড়ি রাখা আবশ্যক।
৫. কোনও ট্রলার ও জাহাজে মাইক অথবা সাউন্ডবক্স বাজানো নিষেধ।




ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড মনে করেন, সুন্দরবন ভ্রমণ উন্মুক্ত হওয়ায় রক্ষা পেলেন ট্যুর অপারেটররা। তার আশা, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সুন্দরবন ভ্রমণের কার্যক্রম গতিশীল হবে। তিনি জানান, আগামী ৩, ৬ ও ১৩ নভেম্বর বিভিন্ন অপারেটরের প্যকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।