সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ‘দীক্ষিত ও প্রেরিত, মঙ্গলবাণী সাক্ষ্যদানে ফাতেমা রানি মা মারিয়া’ মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে গত ৩০ অক্টোবর তীর্থ উৎসবে যোগ দেন সহস্রাধিক রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্ত। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই দিনের অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়েছে মাত্র ছয় ঘণ্টায়! সকাল সাড়ে ৯টায় আলোক শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ফাতেমা রানির ২৩তম বার্ষিক তীর্থ উৎসব।
তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র মাইকেল চিরান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, খ্রিষ্টভক্তরা নিজেদের পাপমোচনে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশ নেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম শেষে মাদার ম্যারির ৪৮ ফুট উচু প্রতিকৃতির সামনের বিশাল প্যান্ডেলে সমবেত হন তারা। এরপর উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা ফাতেমা রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তার সাহায্য প্রার্থনা করেন।
৩০ অক্টোবর দুপুরে জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ ও মহাখ্রিষ্টযোগের (সমাপনী প্রার্থনা) মাধ্যমে বিকাল সাড়ে ৩টায় তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হয়। সমাপনী খ্রিষ্টযোগে পৌরহিত্য করেন ময়মনসিংহ খ্রিষ্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি।
বারোমারী ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান ও নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান লুইস নেংমিনজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্মল হৃদয়ের অধিকারিণী, ঈশ্বর জননী, খ্রিষ্টভক্তের রানি, স্নেহময়ী মাতা ফাতেমা রানির কাছে এবার করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।’
শেরপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে এবারের তীর্থ উৎসব হয়েছে। সবাই যেন নির্বিঘেœ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য এবার ছিল পুলিশের তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।