অনেক বাগানের সামনে বসেছে ফুলের হাট। বাগানের টাটকা গোলাপ উঠিয়ে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে হাটে। দর্শনার্থীরা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। গোলাপের পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ফুলও চোখে পড়ছে এসব হাটে। গোলাপচাষিরা অন্যান্য ফুলের সঙ্গে গোলাপ জুড়ে দিয়ে চমৎকার সব মুকুট বানিয়ে দিচ্ছেন নিমিষেই। এসব মুকুট পাওয়া যাচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। দর্শনার্থীরা পছন্দ মতো ফুল দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন মুকুট, হাত ভরে কিনছেন বাগান থেকে তুলে আনা তাজা ফুলের তোড়া। ফুলের পিস বিক্রি হচ্ছে দশ টাকায়।
নিজ বাগানের সামনে বসে ফুলের মুকুট বানাচ্ছিলেন মর্জিনা বেগম, তার সাহায্যকারী হিসেবে রয়েছে স্বামী ও ১০ বছরের ছেলে। মর্জিনা জানালেন, আগে ফুল বেশিরভাগই পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যেতেন। শাহবাগসহ ঢাকার অনেক ফুল মার্কেটে চলে যেত তার বাগানের ফুল। তবে এখন ফুলের একটা বড় অংশ বিক্রি করছেন এখানেই, দর্শনার্থীদের কাছে। বাকি অংশ চলে যাচ্ছে ফুলের পাইকারদের কাছে।
বিকেল হতেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে গোলাপ গ্রামে। ঢাকার একদম কাছে দুদণ্ড আনন্দের সময় কাটাতে অনেকেই আসেন সাদুল্লাহপুর গ্রামে। চাইলে একটু সময় করে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।