পানির নিচে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হাইওয়ে টানেল

চীনে পানির নিচে নির্মিত হাইওয়ে টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলো। এর দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার (৬ দশমিক ৬৫ মাইল)। এটি নির্মাণ করতে লেগেছে প্রায় চার বছর। এজন্য ব্যয় হয়েছে ১৫৬ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৪৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

চীনের সাংহাই থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে জিয়াংসু প্রদেশের তাইহু হ্রদের নিচে গড়ে তোলা হয়েছে দেশটির সবচেয়ে এই দীর্ঘ টানেল। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর চালু হওয়া ৪৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চংজো-উশি হাইওয়ের অংশ এটি। এর মাধ্যমে সাংহাই ও জিয়াংসুর রাজধানী নানজিংয়ের মধ্যে যাতায়াতে ভ্রমণকারীরা বিকল্প এক্সপ্রেসওয়ে পেয়েছে। সুজো, উশি এবং চংজোর এক্সপ্রেসওয়েগুলোকে সংযুক্ত করেছে এটি। তাইহু হ্রদের পাশের শহরগুলোর ওপর ট্রাফিক চাপ কমাতে এই টানেল তৈরি হয়েছে।

চীনের নতুন টানেলের সিলিংয়ে সাজানো এলইডি লাইট

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়াকে জিয়াংসু প্রদেশের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি দ্বিমুখী টানেলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে রয়েছে ছয় লেন। এটি ১৭ দশমিক ৪৫ মিটার চওড়া। ২০ লাখ ঘনমিটারের বেশি কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে এতে। গাড়িচালকদের একঘেঁয়েমি রোধে টানেলের সিলিং রঙ-বেরঙের এলইডি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। 

পানি নিচে সবচেয়ে দীর্ঘ হাইওয়ে টানেল নরওয়ের টুইন-রোড রাইফাস্ট। দেশটির স্টাবাঙ্গার শহর ও স্ট্রান্ড পৌরসভার মধ্যকার টানেলটির দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার। এছাড়া পানির নিচে যানচলাচলের মহাসড়ক টোকিও বে অ্যাকুয়া-লাইনের দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার।

সড়ক ও রেলপথ মিলিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যকার চ্যানেল টানেল। এর দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।

তথ্যসূত্র: সিএনএন