শিশু পার্ক বন্ধ থাকায় রমনায় ছোটদের আনন্দ

রমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দরাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শাহবাগ সংলগ্ন অংশে অবস্থিত শিশু পার্কে উন্নয়ন কাজ চলছে। তাই এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। প্রতিদিন এতে গড়ে সাত হাজার দর্শনার্থী আসতো। এখনও অনেকে আসছেন! তবে পার্ক বন্ধ থাকায় তারা পাশের রমনা পার্কে সন্তানদের নিয়ে ঘুরছেন। বাংলা ট্রিবিউনের আলোকচিত্রী সাজ্জাদ হোসেনের তোলা বেশকিছু ছবি সেই চিত্র তুলে ধরে।

রমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দরমনা পার্কে শিশুদের জোনে এখন ছোটদের আনন্দ চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন বিকালে অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ে সেখানে সময় কাটান। দোলনায় চড়তে দেখা যায় বড়দেরও। 
রমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দরমনায় ছোটদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস বলছে, ঢাকার শিশু-কিশোরদের জন্য শিশু পার্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে ১৫ একর জায়গায় গড়ে ওঠে এটি। ১৯৭৮ সালের ২৩ নভেম্বর এর ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপিত হর। ১৯৭৯ সালে ১১ জুলাই শিশুদের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হয়।

রমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দশিশু পার্ক আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এই উন্নয়ন কাজ তদারকি করছে গণপূর্ত অধিদফতর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট (এনডিই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

রমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দপার্কটি থেকে বছরে সিটি করপোরেশনের আয়ের পরিমাণ সাড়ে চার কোটি টাকা। আধুনিকায়নের পর দর্শনার্থী বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এজন্য বসানো হচ্ছে নতুন রাইড। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিচে তৈরি হবে ৫০০টি গাড়ি রাখার ভূ-গর্ভস্থ পার্কিং। পার্ক ও উদ্যান মিলিয়ে থাকবে কয়েকটি ফুড কোর্ট। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন জলাধারসহ হাঁটার পথ, দর্শনার্থীদের জন্য বসার স্থান, আন্ডারপাস, মসজিদসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।
রমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দরমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দরমনা পার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দ