নিরাপদ শহরের র‌্যাংকিংয়ে তলানিতে ঢাকা

ঢাকা (ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স)ব্রিটিশ গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০১৯ সালের সেফ সিটিস ইনডেক্সে (এসসিআই) বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৬০টি শহর জায়গা পেয়েছে। এতে ৫৬ নম্বরে আছে ঢাকা। ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী পেয়েছে ৪৪ দশমিক ৬ স্কোর। ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অবকাঠামো ও ব্যক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিরিখে এই র‌্যাংকিং সাজানো হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তায় ঢাকার স্কোর ৪১ দশমিক ৯, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৪৫ দশমিক ১, অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৪ দশমিক ২ ও ব্যক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ৫৭ দশমিক ৪। স্কোর দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ইনডেক্সের তলানিতে অর্থাৎ অনিরাপদ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। এ কারণে বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহ কাজ করে না।  

তালিকায় ঢাকার নিচে আছে কেবল পাকিস্তানের করাচি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, ভেনেজুয়েলার কারাকাস ও নাইজেরিয়ার লাগোস। ডিজিটাল নিরাপত্তায় ঢাকার নিচে থাকা শহর তিনটি হলো মিসরের কায়রো, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি ও ইয়াঙ্গুন। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকার চেয়ে কম স্কোর পেয়েছে ইয়াঙ্গুন, করাচি ও লাগোস। অবকাঠামো উন্নয়নে ঢাকার নিচে কেবল কারাকাস। আর ব্যক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিক দিয়ে ঢাকার চেয়ে পিছিয়ে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা, ইয়াঙ্গুন, করাচি, কারাকাস ও লাগোস।

২০১৯ সালের এসসিআই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটকদের দৃষ্টিতে নিরাপত্তার ধরন অনেকখানি বদলেছে। তাই যেকোনও শহরের পরিবহন সুবিধা, বিপর্যয় বীমা, দুর্যোগ-ঝুঁকি উন্নয়ন ও সাইবার নিরাপত্তা প্রস্তুতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইনডেক্সে।

তালিকায় শীর্ষে আছে জাপানের রাজধানী টোকিও। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এই নগরীর স্কোর ৯২। ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক দিয়ে শহরটি অতুলনীয়। জাপানের আরেক নগরী ওসাকা রয়েছে তিনে। এর ঘরে এসেছে ৯০ দশমিক ৯ স্কোর। অবকাঠামো ও ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের সুবাদে দুই নম্বরে আছে সিঙ্গাপুর। এটি পেয়েছে ৯১ দশমিক ৫। এসসিআইয়ের ২০১৫ আর ২০১৭ সালের র‌্যাংকিংয়েও প্রথম তিনটি স্থানে ছিল এই শহরগুলো।