বনবিভাগ বলছে— সুন্দরবন দেখতে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, যশোর ও সাতক্ষীরাসহ দূর-দুরান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন। আবহাওয়া এর চেয়ে খারাপ না হলে আরও কয়েকদিন ধরে তাদের ভিড় থাকবে। তাদের নির্বিঘ্নে ঘোরাঘুরির জন্য আছে বনপ্রহরীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঈদের দিন খুব একটা ভিড় না থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) থেকে পর্যটক সমাগম বেড়েছে করমজলে। এছাড়া হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা, কচিখালীসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটে তাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তবে বনের কাছাকাছি ও যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হওয়ায় করমজল সবসময়ই বেশি ভিড় থাকে।
পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণে আসছেন। এবার ঈদের ছুটিটা যেহেতু লম্বা, তাই আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকলে আগামী আরও কয়েকদিন ধরে ভ্রমণপ্রেমীদের ভিড় থাকবে করমজলে।’
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলার পশুর চ্যানেল দিয়েই প্রবেশ করতে হয় সুন্দরবনে। পশুর নদীর দু’পাশ জুড়ে সুন্দরবন। এ নদীতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজগুলো আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের।