বুলেট ট্রেন, এয়ার বাইসাইকেল, সোয়ান বোট, ওয়াটার বোট, রোলার কোস্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোটসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন রাইডের পাশাপাশি সুইমিং পুলে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস। এ বছর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক মডেল সংযোজন এখানকার নতুন আকর্ষণ। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা দৃষ্টিনন্দন এই পার্কে সপরিবারে বেড়াতে আসা অনেকে বেছে নেন নান্দনিক কটেজগুলো।
পরিবার নিয়ে গাজীপুর থেকে আসা হাসিবুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি উপভোগ করতে এসেছি। সুইমিং পুলসহ রাইডগুলোতে চড়ে সবাই খুব মজা করলাম। পার্কের পরিবেশ খুবই ভালো।’
আরও অনেকের কাছে এখানকার পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন মনে হয়েছে। তাদেরই একজন রংপুরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম সাদ্দাম। তার কথায়, ‘চারপাশটা অপূর্ব। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে প্রথমবার এখানে এলাম। বিভিন্ন রাইডে চড়েছি।’
কেউ কেউ আগে এলেও ঈদ উপলক্ষে আবারও এসেছেন। ঢাকার গৃহিণী সানজিদা বেগম সেই দলের একজন। তিনি বলেছেন, ‘ড্রিম হলিডে পার্কে আগেও এসেছিলাম। ঈদের ছুটিতে বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দ করতেই এখানে আবারও আসা। বাচ্চারা দিনভর পার্কে ঘুরে খুব খুশি হয়েছে।’
জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে ড্রিম হলিডে পার্ক। প্রবেশ মূল্য ৩০০ টাকা। এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনও টিকিট প্রয়োজন নেই বলে জানায় পার্ক কর্তৃপক্ষ।