ঈদের ছুটিতে পাহাড়ের টানে বান্দরবান

বান্দরবানে পাহাড় ও মেঘের মিতালীঅবারিত সবুজের সমারোহে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। সবুজে মোড়ানো প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে মনের আনন্দে ঘুরছেন তারা। শহরের যান্ত্রিক জীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে পাহাড়, ঝিরি-ঝরনা ও সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির টানে জড়ো হচ্ছেন পর্যটকরা।

পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, নীল দিগন্ত, শৈলপ্রপাত, প্রান্তি লেক, চিম্বুক, কেওক্রাডং, বগালেক, প্রান্তিক লেক, স্বর্ণ মন্দিরসহ মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পটগুলোতে এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভ্রমণপ্রেমীদের ভিড়।
বান্দরবানে ঝুলন্ত সেতুনীলাচলে বিস্তীর্ণ পাহাড় আর আকাশ ও মেঘের মিতালী, ঝরঝড়ি, রিজুক, শৈলপ্রপাত, বড় পাথর, নাফাকুমসহ অসংখ্য ঝরনাধারা, ঝুলন্ত সেতু, ক্যাবল কারসহ নজরকাড়া পর্যটন স্পটের সুবাদে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদে এই পার্বত্য জেলায় প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে।

বান্দরবানে মেঘের সঙ্গে মিতালীঢাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ যোবায়ের মনে করেন, ‘বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো একটি আরেকটির চেয়ে সুন্দর! ঈদ আনন্দ উপভোগের জন্য এই জেলা সবচেয়ে জুতসই।’

বান্দরবানে ভ্রমণপ্রেমীরাভ্রমণপ্রেমী উম্মে সুলতানা কুসুমের ভাষায়, ‘বান্দরবান এককথায় মনোমুগ্ধকর। এখানকার সবকিছু মন ছুঁয়ে যায়। এখানকার মনোরম প্রকৃতি দেখতে প্রতি বছর আসতে ইচ্ছে করে।’

প্রতি বছরের মতো রোজার ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছেন বলে জানান বান্দরবান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার। তাদের নির্বিঘ্নে বেড়ানো নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘জেলার অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্র থানচি সড়কে অবস্থিত। প্রতিটিতেই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

বান্দরবানে ভ্রমণপিপাসুরাএদিকে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বান্দরবানে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের আশা, পাহাড়ি জেলাটি দেশের অন্যতম পর্যটন নগরীতে পরিণত হবে। ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান।