শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলী (রহ.) মাজারে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার নিয়ে অনেকে আনন্দে মেতে আছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে এসব ঐতিহাসিক স্থানে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এদিন বেড়ানোর ফাঁকে অনেকে জুমআর নামাজ আদায় করেন।
টাঙ্গাইল থেকে বেড়াতে আসা চাকরিজীবী মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘ষাটগম্বুজ মসজিদে আসার ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলাম।’
বন্ধুদের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) মাজার দেখতে এসেছেন রবিউল ইসলাম সোহেল। খানজাহান আলীর অমর কীর্তি দেখার ইচ্ছে ছিল তার অনেকদিনের। সেটি পূরণ হওয়ায় যারপরনাই খুশি তিনি।
ষাটগম্বুজ মসজিদের দুই কিলোমিটার দূরে বারাকপুর এলাকায় বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা সুন্দরবন রিসোর্টেও ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এখানে বিভিন্ন রাইডে চড়ে হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছে শিশুরা। এখানকার আকর্ষণ কুমিরসহ বিভিন্ন পশু-পাখি।
বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান মো. গোলাম ফেরদৌস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। তবে এবার আবহাওয়া বৈরী থাকায় ঈদের দিন লোকজন কম ছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহ গতবারের চেয়ে বেশি দর্শনার্থী হতে পারে।’