ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখর

ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনে ভ্রমণপিপাসুরাঈদের টানা ছুটিতে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলী মাজার, সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে ভ্রমণ উপভোগ করছেন তারা। তাই সব জায়গায় দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। এবারের ঈদে ছুটি বেশি থাকায় আগামী একসপ্তাহ বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলী (রহ.) মাজারে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার নিয়ে অনেকে আনন্দে মেতে আছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে এসব ঐতিহাসিক স্থানে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এদিন বেড়ানোর ফাঁকে অনেকে জুমআর নামাজ আদায় করেন।

টাঙ্গাইল থেকে বেড়াতে আসা চাকরিজীবী মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘ষাটগম্বুজ মসজিদে আসার ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলাম।’

বাগেরহাটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণপ্রেমীরা১সপরিবারে আসা আরেক ভ্রমণপ্রেমী গাজীপুরের মনিরুজ্জামান। তার কথায়, ‘ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ হলো দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য। নতুন প্রজন্মের এমন স্থাপনাগুলো দেখা দরকার। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

বন্ধুদের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে হজরত খানজাহান আলী (রহ.) মাজার দেখতে এসেছেন রবিউল ইসলাম সোহেল। খানজাহান আলীর অমর কীর্তি দেখার ইচ্ছে ছিল তার অনেকদিনের। সেটি পূরণ হওয়ায় যারপরনাই খুশি তিনি।

ষাটগম্বুজ মসজিদের দুই কিলোমিটার দূরে বারাকপুর এলাকায় বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা সুন্দরবন রিসোর্টেও ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এখানে বিভিন্ন রাইডে চড়ে হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছে শিশুরা। এখানকার আকর্ষণ কুমিরসহ বিভিন্ন পশু-পাখি।

বাগেরহাটে ভ্রমণপিপাসুরাবৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার সুন্দরবনে গত বছরের চেয়ে পর্যটক কম এসেছে বলে মনে করেন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঈদের দিন বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টিসহ প্রতিকূল আবহাওয়া থাকায় কিছু দর্শনার্থী করমজলে এসেছিলেন। ঈদের পরের দুই দিনও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অনেককে আসতে দেখা গেছে।

বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টডিয়ান মো. গোলাম ফেরদৌস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। তবে এবার আবহাওয়া বৈরী থাকায় ঈদের দিন লোকজন কম ছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী এক সপ্তাহ গতবারের চেয়ে বেশি দর্শনার্থী হতে পারে।’