সবুজ প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীদের দেখতে সাতছড়িতে বেড়াতে এসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। ঈদের দিন বিকাল থেকে শুরু হয় তাদের আগমন। একসপ্তাহ এমন চিত্র অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার ২৪টি চা বাগান ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।
ঢাকা থেকে চা বাগান দেখতে এসেছেন সীমা চৌধুরী। তার ভাষায়, ‘ঈদের ছুটিতে হবিগঞ্জের চা বাগান ঘুরে খুব ভালো লেগেছে। পরিবারের সঙ্গে চমৎকার কিছু সময় কাটলো এখানে।’
ঢাকার আরেক ভ্রমণপ্রেমী সুমা জামান চা বাগানের সবুজ ঐশ্বর্যে হারিয়ে যাওয়ার অনুভ‚তি প্রকাশ করলেন। শরীয়তপুর থেকে সাতছড়িতে আসা রহিমা খাতুন জানান, ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির রূপ দেখে খুব ভালো লাগছে তার। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পশু-পাখির ডাক শুনেছি। এখানকার পরিবেশ নিরিবিলি ও সুন্দর। পরিবার নিয়ে ঘুরে খুব আনন্দ পেলাম।’
জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছেন। মাধবপুর উপজেলার আসাদ আলী কলেজের শিক্ষার্থী রুমা বললেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে এসেছি। বন্ধুবান্ধব মিলে অনেক আনন্দ করলাম। সবাই অনেক উৎফুল্ল।’
এদিকে পর্যটকদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি আছে বনবিভাগের নিজস্ব পেট্রোল বাহিনী। হবিগঞ্জ সাতছড়ি বনভিটের রেঞ্জ অফিসার মাহমুদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ঈদের চেয়ে এবার আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেক রাজস্ব আসবে। পর্যটকরা প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে এখানে নির্দ্বিধায় আসতে পারেন।’