ঘুরে আসুন সোনারগাঁ-পানাম নগর (ভিডিও)

রাজধানী ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ঐতিহাসিক স্থান সোনারগাঁ। এতে অবস্থিত বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর। এখানকার স্নিগ্ধ প্রাকৃতিক ছায়া-ঢাকা পরিবেশ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন মনে করিয়ে দেয় বাঙালির ইতিহাস।

গবেষকদের মতে, সোনারগাঁয়ের প্রচীন নাম ছিল সুবর্ণবীথি বা সুবর্ণগ্রাম। সেখান থেকেই মুসলিম আমলে নামকরণ হয় সোনারগাঁ। অনুমান করা হয়, ১২৮১ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁয়ে মুসলিম আধিপত্যের সূচনা হয়। ১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ সোনারগাঁকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। তখনই সোনারগাঁ বাংলার স্বতন্ত্র রাজধানী হিসেবে মর্যাদা পায়।

সোনারগাঁয়ে অবস্থিত প্রাচীন নিদর্শন বড় সর্দার বাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এটি সোনারগাঁয়ের স্মৃতিঋদ্ধ ইমারত। সর্দার বাড়ির সুপ্রাচীন স্থাপত্যশৈলী মোগল, বার ভূঁইয়া ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের অভিজাত ভবনের স্বাক্ষর বহন করছে।

বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে পানাম নগর। একসময় সোনারগাঁয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল এটি। তখন থেকে পানাম নগর অতীতের সমৃদ্ধশালী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এর চারদিকে পরিখার মধ্যভাগে নির্মিত হয়েছিল লাল ইটের ইমারত। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা এখানে নির্মাণ করেছিল নীলকুঠি। জমিদার ও ব্যবসায়ীরা এখানে এসে রাস্তার দু’ধারে আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণ করেছিলেন।

আনুমানিক ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তার দু’ধারে গড়ে ওঠে পানাম নগর। বর্তমানে রাস্তার উত্তর পাশে ৩১টি ও দক্ষিণ পাশে ২১টিসহ মোট ৫২টি ইমারত রয়েছে। ইউরোপীয় স্থাপত্যের অনুকরণ রূপায়িত হয়েছে ইমারতগুলোর নকশায়। প্রতিটি ইমারত প্রাচীনকালের গৌরবময় ইতিহাসের পরিচয় বহন করে।

ভিডিও: শেরিফ আল সায়ার