প্রায় দুই দশক আগে মেঘনার বুকে চরটি জেগে ওঠে। দ্বীপের খুব কাছেই জেলার কমলনগরের চর কালকিনির একটি গ্রামের নাম থেকে চর শামছুদ্দিনের নামকরণ হয়। মতিরহাটের কাছেই অবস্থিত বলে এটি ‘মতিরহাটের চর’ নামেই লোকমুখে পরিচিত।
ঈদ কিংবা বিভিন্ন উৎসব ছাড়াও এই দ্বীপে বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। দ্বীপে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা মেলে। বর্ষায় দ্বীপের প্রকৃতি হয়ে ওঠে অনিন্দ্যসুন্দর। তাই এ সময়টা বেশি উপভোগ্য। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধান প্রফেসর মাহবুবে এলাহি সানি বলেন, ‘দ্বীপটিতে আমার বেশ কয়েকবারই যাওয়া হয়েছে। শুধু লক্ষ্মীপুর নয়, বৃহত্তর নোয়াখালীর মধ্যে এটি ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম তীর্থস্থান বলা চলে।’
শুরুতে এখানে মানুষের তেমন বসতি ছিল না। চারদিক থাকতো মরুভূমির মতো। বর্তমানে এই চরে ২৫টি পরিবারের চার শতাধিকেরও বেশি মানুষের বসবাস। বিভিন্ন স্থান থেকে নদীভাঙনে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে বসতি স্থাপন করেছেন তারা। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার সুবাদেও ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে চর শামসুদ্দিনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সঙ্গে মতিরহাটের মেঘনার তীরে তাজা ইলিশ ভোজন ও মহিষের খাঁটি দধির স্বাদ নেওয়া যায়।
রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সড়কপথে বাসে অথবা সদরঘাট থেকে লঞ্চে চাঁদপুর হয়ে লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুর স্টেশন আসতে হবে। তারপর লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের যেকোনও গাড়িতে তোরাবগঞ্জ নেমে সেখান থেকে মতিরহাট সড়ক দিয়ে মেঘনাপাড়ে পৌঁছান। এরপর ট্রলারে চড়ে চর শামছুদ্দিনের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে আসুন।
ছবি: লেখক