তবে ওই মামলায় একজনকে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় হারিছ চেীধুরীর চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরীও অভিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশে তার বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় তাকে বাদ দিয়েই এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-হারিছ চৌধুরী, বিএনপি কর্মী আহমদ মস্তফা, আলতাফ উদ্দিন ওরফে কল্লামোটা আলতাই ও মামুন রশিদ ওরফে রাইডার মামুন। তাদের সবার বাড়ি কানাইঘাট থানা এলাকায়।
এ ঘটনায় কানাইঘাটের বাসিন্দা আহমদ সুলেমান ওরফে সুলাইকে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় আহমদ সুলেমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বিগত চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে কানাইঘাটের লোভাছড়ার কামদানা এলাকায় ব্যবসায়ী আজির উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুই দফা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট প্রথম দফা হামলায় দেড় লাখ টাকা ও ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা হামলায় ৫ লাখ টাকা লুটপাট হয়। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল আজির উদ্দিন বাদী হয়ে হারিছ চৌধুরীসহ ৬ জনকে আসামি করে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের (নং- ৫) করেন।
ওই বছরের ৫ আগস্ট কানাইঘাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল চক্রবর্তী মামলাটি তদন্ত করে হারিছ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট, নম্বর ৮৯) দাখিল করেন। এ ৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালত ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল অভিযোগ গঠন ( চার্জগঠন) করেন। মামলার মোট ১৮ স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন। হারিছ চৌধুরীর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
/এআর/