গুলশান হামলা

‘নিখোঁজ’ শাওন ‘জঙ্গি’ সন্দেহে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন


শাওনঅপারেশন থান্ডার বোল্ট অভিযানের সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক তরুণ এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার বিকালে গুলশান থানা পুলিশের কড়া পাহারায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন শাওন (২০)। তার মায়ের দাবি, শাওন ওই রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির সহকারী। কিন্তু পুলিশ তাকে জেএমবির সদস্য বলে মনে করছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিকাল সোয়া ৩টার সময় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালের ক্যাজুয়্যালিটি বিভাগের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। শাওন জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে মনে করে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজী হননি গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে তার বাবা আবদুস সাত্তার ও মা মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদের কাছে ওই ছবি দেখে জানান, সে আর্টিজান রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। মাহমুদা বলেন, বৃহস্পতিবার ইফতারের পর ফোনে ছেলের সঙ্গে কথা হয়। রবিবার বাড়ি যাবে বলেও জানিয়েছিল। পরে রেস্টুরেন্টে হামলার পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তারা। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের নয়াপাড়ার গোদনাইল এলাকায়। শাওনের বাবা আবদুস সাত্তার নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ডিপোতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন।
শাওনের মামাহমুদা আরও বলেন, আমাকে আজ সকালে একজন ফোন করে জানালো শাওন ঢাকা মেডিক্যালে আছে। গিয়ে দেখি বিছানায় পড়ে আছে। তাকে মেরে পা, মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমার ছেলে এই রেস্টুরেন্টে কুকের অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করতো। তাকে মেরে বলা হয়েছে, সে নাকি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ছিল। আমার আরেক ছেলে হোটেলের মালিক মেহেদি সাহেবের বাসায় কাজ করত। আর শাওন হোটেলে। এখন তাকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে।
গত দু’দিন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। শাওন তাদের তথ্য দিয়েছেন বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান।


/জেইউ/এজে/