স্নাইপারের গুলিতে যেভাবে শেষ হলো তামিমসহ ৩ জঙ্গি

স্নাইপারনারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার অভিযানে পুলিশের স্নাইপার রাইফেলের গুলিতেই নিহত হয়েছে তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি। আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হলেও তারা সেই সুযোগ না নিয়ে পুলিশের ওপর গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ স্নাইপার রাইফেল দিয়ে জঙ্গিদের গুলি করে। এতে দুই সহযোগী মানিক ও ইকবালসহ তামিম চৌধুরী নিহত হয়।

অভিযান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার কবরস্থানের তিনতলা বাড়িটিতে ‘অপারেশন: হিট স্ট্রং ২৭’ পরিচালনার ছক তৈরি করা হয়। জঙ্গিরা যেন পালাতে না পারে, সে জন্য আগে থেকেই ঘটনাস্থলের চারপাশ ঘিরে রাখেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ পুলিশের অন্য টিমের সদস্যরা। আইজিপির নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হলেও তারা সেই সুযোগ নেয়নি। উপরন্তু তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়ে মারে। একইসঙ্গে এ কে ২২ রাইফেল দিয়ে গুলি করতে থাকে। এরপর পুলিশও পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান শুরু করে। অভিযানে থাকা সোয়াত টিমের সদস্যরা অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে স্নাইপার রাইফেলও ব্যবহার করেন।

অভিযানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্নাইপার রাইফেল দিয়ে টেলিস্কোপের সাহায্যে নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে গুলি করা সম্ভব হয়। এই রাইফেল দিয়ে  দ্রুত শক্তিশালী বুলেট ছোড়া যায়। ছবিও তোলা যায় স্নাইপার রাইফেলের টেলিস্কোপ দিয়ে। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করেছিলেন। তবে সেখানে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে কেবলমাত্র জঙ্গিদের ছবি তোলা হয়েছিল, গুলি চালানো হয়নি। যে কারণে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে জীবিত ও অক্ষত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। কয়েক রকমের স্নাইপার রাইফেল রয়েছে। তবে, ঠিক কোন ধরনের স্নাইপার রাইফেল পাইকপাড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা জানাননি সংশ্লিষ্টরা।

অভিযান শুরুর পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই সুযোগ না নিয়ে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা ও গুলি করে। পরে পুলিশ নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি করে জঙ্গিদের। এতে তিন জঙ্গি নিহত হয়।

আরও পড়তে পারেন:  জঙ্গি আস্তানায় দূরবীন!