এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত কয়েকজন আইনজীবী জানান, ‘এমনিতে আমরা আসামির পক্ষে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওবায়দুলের মতো আসামির হয়ে আদালতে দাঁড়াতে ইচ্ছা করেনি। এছাড়া তার পক্ষে কোনও স্বজন কোনও আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা, সেটা বলতে পারব না।’
গত ২৪ আগস্ট টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল খান উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে ছুরি দিয়ে জখম করার পর থেকে পলাতক ছিল। রবিবার ২৮ আগস্ট আইসিইউতে রিশা মারা গেলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তারা ওবায়দুলকে গ্রেফতারে আল্টিমেটাম দেন। এরপর বুধবার নীলফামারি থেকে তাকে আটক করে রাতেই ঢাকা আনা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওবায়দুলকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে ৬দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে যখন ওবায়দুলকে হাজির করা হয়, তখন সেখানে মামলার বাদী রিশার মা ও বাবা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিকালে রিশার মাকে বাদীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলে তার কান্না কোনওভাবেই বাধা মানছিল না। মেয়ে হারানোর কষ্ট যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায় সামনে মেয়ের খুনিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। শুনানির পর তিনি বলেন, ‘আমি চাই, যে আমার কোল খালি করে দিয়েছে, তার মতো জঘন্য অপরাধীর ফাঁসি হোক। আমাদের মনতো ঠাণ্ডা হয় না।’
আদালতে বাদীর পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য বেশ কয়েকজন আইনজীবীরা উপস্থিত হন। প্রধান আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আবু শুনানিকালে আদালতকে বলেন, ‘রিশা হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। যে নৃশংসতায় তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা আর যেন না ঘটে, সে কারণে ওবায়দুলের মতো আসামির সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে রিশাকে জখমকারী চাকু উদ্ধার যেমন জরুরি তেমন আর কেউ জড়িত ছিল কিনা, সেটা বের করাও দরকার। সে কারণে সর্বোচ্চ দশদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলে আদালত ৬দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
আরও পড়ুন: ওবায়দুলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছবি: নাসিরুল ইসলাম
/এমএনএইচ/