র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, ‘র্যাবের পৃথক দুই অভিযানের একটি থেকে একটি একে ২২ রাইফেল ও একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যটি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুরের হাড়িনালের জঙ্গি আস্তানা থেকে যে একে ২২ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে, তা গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি থেকে এবং কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা একে ২২ রাইফেলের সঙ্গে মিল রয়েছে। এখানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে তৌহিদুল ইসলাম ও রাশেদ মিয়া নামে দুই জঙ্গি নিহত হয়।
সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের কাগমারায় যে আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে সেখান থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১০টি চাপাতি, ১২ রাউন্ড গুলি, একটি ড্যাগার, একটি চাকু, ২ টি ল্যাপটপ ও নগদ ৬৪৯৬২ টাকা উদ্ধার করা হয়। এখানেও দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, ‘আশুলিয়ার জঙ্গি আস্তানা থেকে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা, একটি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মোবাইল জ্যামার, ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।’
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়, গাজীপুরের যে আস্তানায় কাউন্টার টেরোরিজম অভিযান চালিয়েছে, সেখানে নিহত হয়েছে ৭ জঙ্গি। তাদের একজন নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডার ফরিদুল ইসলাম আকাশ বলে সন্দেহ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই আস্তানায় অভিযানের আগে জঙ্গিরা নগদ টাকাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। দুটি ল্যাপটপের পোড়া অংশসহ এখান থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ধারালো অস্ত্রসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামতও উদ্ধার করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, ‘কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
/এনএল/এমএনএইচ/