সাংবাদিকের 'ভুয়া ফেসবুক আইডি' থেকে জাবি শিক্ষিকাকে হয়রানি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে সাংবাদিক পরিচয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেসরকারি টেলিভিশনে কর্মরত এক সাংবাদিকের ছবি ও নাম ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেবউননেছাকে হয়রানি করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে জেবউননেছা  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বিকালে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রিতা নাহারের ছবি ব্যবহার করে এই ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা হয়। রিতা নাহার দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ মেহেদীর স্ত্রী। তার আসল অ্যাকাউন্টে সাংবাদিক পরিচয় থাকলেও ভুয়া অ্যাকাউন্টটিতে স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেডের এইচআর দেখানো হয়েছে।  

গতকাল বিকালে সহযোগী অধ্যাপক জেবউননেছাকে উদ্দেশ করে ভুয়া অ্যাকাউন্টটি থেকে চারটি পৃথক মেসেজ দেওয়া হয়।

ইংরেজি হরফের ওই মেসেজগুলোতে বলা হয়, ‘খুব ভাব হইছে আপনার ম্যাডাম! জামাত শিবিররে নিয়া চলতেছেন। কিছুদিন আগে পুলকরে ঠেকাইতে খুব ট্রাই করলেন, পারলেন? ডে ড্রিম দেখতেছেন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হইলে কি করবেন, তাই না? কিছু করতে পারবেন না। আপনি ডিপার্টমেন্টে জামায়াত-শিবিরের অ্যাডভাইসর, প্রমাণ আছে আমাদের কাছে। ঢাকা ভার্সিটির মূল তুলে ফেলব জাহাঙ্গীরনগর থেকে।’

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক জেবউননেছা বলেন, ‘যার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা হয়েছে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র সততা নেই, যারা চায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হোক তারাই ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে এ ধরণের কাজ করছে।’

এ বিষয়ে রিতা নাহার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ভুয়া আ্যকাউন্টটি দেখেছি। এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে নানা সময় বিভিন্ন জনের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তারা আমাকে হয়রানির জন্য এই কাজ করে থাকতে পারে। দেখলাম, অ্যাকাউন্টটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর হোতা কে তা আমিও জানতে চাই। আশাকরি পুলিশি তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’

রিতা নাহার রাতে ঢাকার বনানী থানায় এ নিয়ে একটি জিডি করেছেন বলেও জানা যায়। 

/এনএস/