রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৪ জন

আগুনরাজধানীর জুরাইন এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়েছে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের চার জন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে সকাল ৯টার দিকে তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দগ্ধ সবার অবস্থা সংকটজনক। কালামের ৬০ শতাংশ, জেসমিনের ৩৯ শতাংশ, শিশু রনির ৪০ শতাংশ ও শারমিনের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

আগুনে দগ্ধ জেসমিন আক্তার (৩৮) জানান, জুরাইনের বউবাজার মদিনা মসজিদের পাশে একটি টিনশেড বাড়িতে তারা চলতি মাসের এক তারিখে ভাড়া নেন। বাড়িতে ওঠার পর দেখেন রান্না ঘরের গ্যাস লাইনে লিকেজ রয়েছে। বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ঠিক করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। তাদের ধারণা, লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হয়ে ঘরের মধ্যে জমা হয়েছিল। যেটা তারা বুঝতে পারেনি।

জেসমিন আক্তার বলেন, ‘সকালে আমার স্বামী আবুল কালাম আজাদ (৪০) সিগারেট ধরাতে গেলে হঠাৎ পুরো ঘরে আগুন জ্বলে উঠে। এতে আমার স্বামী ও শিশু সন্তান রনি (১০) দগ্ধ হয়। এছাড়াও কালামের ভাইয়ের মেয়ে শারমিন আক্তারও (২৫) দগ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা।’

কালাম স্থানীয় একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় এবং জেসমিন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। শিশুপুত্র রনি স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারিপুরের রাজৈর থানার গোপালগঞ্জ গ্রামে।

/জেইউ/এনএস/