সুবীর চন্দ্র হত্যা মামলায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ





সাংবাদিক-মনির-হত্যায়-দুজনকে-মৃত্যুদণ্ডাদেশ-দিয়েছেন-আদালতআহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুবীর চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় তার দুই সহপাঠীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ রায় দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ফরহাদ হোসেন সিজু ও মো. হাসান পলাতক রয়েছেন।
অপর দুই আসামি শফিক আহমেদ রবিন ও শাওন ওরফে কামরুল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
রায় ঘোষণার পর অভিযুক্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিচারক।
এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি রবিনের স্ত্রী লুৎফা আক্তার সনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার আসামি রবিন ও সনি ছাড়া সবাই ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন।
রায়ে বলা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালে ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাভারের বাসা থেকে সুবীরকে (২২) ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে আসামিরা। অভিযুক্ত আসামি সিজু সুবীরের মুখে এসিড ঢেলে দিয়ে বিকৃত করে এবং সুবীরের লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সাভারের কোটালিয়া গ্রামের একটি ইটভাটার কাছে নদীর তীর থেকে সুবীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রায়ে আরও বলা হয়, সনির সঙ্গে সুবীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে সনি গোপনে রবিনকে বিয়ে করেন এবং এ নিয়ে সহপাঠীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরেই সুবীরকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা গৌরাঙ্গ দাস সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ২৮ আক্টোবর আসামি ফরহাদ হোসেন সিজু, হাসান, শফিক আহমেদ রবিন, শাওন ওরফে কামরুল আহসান ও লুৎফা আক্তার সনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলায় ২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জন সাক্ষী প্রদান করেন।
/এসআইটি/ এপিএইচ/আপ-এআর/