পার্বতীপুরের শিশুটির অঙ্গহানির শঙ্কা রয়েছে





ধর্ষণপার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার হওয়া ৫ বছরের শিশুটির জীবনহানির শঙ্কা নেই। তবে অঙ্গহানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। বুধবার ঢামেক হাসপাতালের নিজ অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ঢামেকে আনলে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আমরা সন্দিহান ছিলাম মেয়েটিকে সারিয়ে তোলা যাবে কিনা কারণ শিশুটির শরীরের বিভিন্নস্থানে অসংখ্য ক্ষত ছিল। ওর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি আরও বলেন, আজ আরও ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিশুটিকে এ্যানেসথেসিয়া দিয়ে ওসিসিতে রাখা করা হয়। শিশুটি আরও সুস্থ হলে তাকে প্লাস্টিক সার্জারিসহ অন্যান্য সার্জিারি করা হবে। শিশুটি খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ জন্য মেডিক্যাল বোর্ডে একজন মানসিক চিকিৎসকও রাখা হয়েছে। শিশুটিকে এখন আসিইউতে রাখা হয়েছে।
এদিকে শিশুটির চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গাইনি বিভাগীয় প্রধান ফেরদৌসি ইসলামকে প্রধান করে এ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ওই শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে ঢামেকে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির বাইরে খেলতে যাওয়ার পর ওই শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খুঁজেও তাকে না পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। পরে ১৯ অক্টোবর ভোর ৬টায় ওই শিশুটিকে বাড়ির পাশের হলুদ ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর নির্যাতিতা শিশুর বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
/জেইউ/এআইবি/এআর/