ডিম ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই: পুলিশ ও আনসারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চার্জশিট






রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিম ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে শাহবাগ থানা পুলিশ। কনস্টেবল লতিফুজ্জামান ও আনসার সদস্য আব্দুর রহমানকে অভিযুক্ত করে এই চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে অপর কনস্টেবল রাজিকুলকে।15216124_10205662742247582_1844661620_o


মামমলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবরাজ চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দ্রুতবিচার আইনে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে। কনস্টেবল লতিফুজ্জামানকে দুই দফায় দুইদিন করে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছে। অপরদিকে আনসার সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘বাদী নিজেও লতিফুজ্জামান ও আব্দুর রহমানকে শনাক্ত করেছেন। সকল কিছু নিশ্চিত হয়েই চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। তবে ছিনতাইকৃত টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি।’
গত ১৮ নভেম্বর ভোরে কারওয়ানবাজার পাণ্থকুঞ্জের সামনে ডিম ব্যবসায়ী আবদুল বাছির মনার পথরোধ করে কনস্টেবল লতিফুজ্জামানসহ দু’জন তাকে তল্লাশি করার নাম করে ৪৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ডিম ব্যবসায়ীর সাহসিকতায় ও পথচারীদের সহযোগিতায় লতিফুজ্জামানকে আটক করে পুলিশে দেয়। তবে তার সঙ্গে থাকা অপরজন পালিয়ে যায়। ওইদিন সকালেই আব্দুল বাছির বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন।
লতিফুজ্জামানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, তিনি ডিএমপির ট্রাফিকের উত্তর বিভাগের গুলশান জোনে কর্মরত। রাজিকুল নামে আরও এক কনস্টেবলের নাম বলেন তিনি। তবে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় তার সঙ্গে কনস্টেবল রাজিকুল ছিলো না, আনসার সদস্য আব্দুর রহমান ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাজিকুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল লতিফুজ্জামান।
তদন্ত কর্মকর্তা দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ছিনতাইয়ের সময় লতিফুজ্জামানের সঙ্গে রাজিকুল ছিল না। তার সঙ্গে ছিল আনসার সদস্য আব্দুর রহমান। আনসার সদস্যকে গত বুধবার রাতে তাকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দশানি রকাশিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে লতিফুজ্জামান নিজেও পুলিশের কাছে সত্য প্রকাশ করেন। তারা তিনজনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।’
ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ লতিফুজ্জামান ও রাজিকুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইতোমধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করেছে। একজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অপর আসামি পুলিশের কাছে তার দোষ স্বীকার করেছে।’
/এআরআর/এইচকে/