স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই বিদেশি, পুরোহিত ও ধর্মযাজকসহ একের পর এক এসব হত্যা করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বিষয়ে এরইমধ্যে দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন।’
আসাদুজ্জমানা খাঁন কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা ধারণা রয়েছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও এমপি লিটনের সম্পর্কে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার ধারণা আছে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে দৃর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের ছোট বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাদের জন্য রিমান্ডেও নিয়েছে। তাদের মধ্যে জামায়াত নেতাকর্মী ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকলীগের স্থানীয় এক নেতাও রয়েছেন। তবে এ ঘটনায় অন্তত ৮০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তদন্তে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ঘটনার ১৮দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত মূল খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: এমপি লিটন ও মামুন হত্যা একইসূত্রে গাঁথা
/জেইউ/এমএনএইচ/