স্কুলছাত্র আদনান হত্যা: দুই গ্যাংয়ের ৮ সদস্য আটক


আদনান হত্যায় জড়িত সন্দেহ আটক ৮ কিশোরস্কুলছাত্র আদনান কবীর হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কথিত ডিসকো বয়েজ ও বিগ বস গ্যাং গ্রুপের দলনেতাসহ আট সদস্যকে আট করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রাজধানীর উত্তরা থেকে র‌্যাবের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে মোবাইলফোনের এসএমএস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

আটককৃতরা হলো- মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি ও ডিসকো বয়েজ গ্যাং গ্রুপের দলনেতা শাহরিয়ার বিন সাত্তার ওরফে সেতু ওরফে রায়হান আহমেদ সেতু ওরফে ডিসকো সেতু (২২), এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি বিগবস গ্যাং গ্রুপের দলনেতা আক্তারুজ্জামান ছোটন (১৯), শাহীনুর রহমান (১৭), রমজান মোবারক (১৭), সেলিম খান (২৩), ইব্রাহীম হোসেন ওরফে সানি (২৮), মিজানুর রহমান সুমন (২২), জাহেদুল ইসলাম জুইস (২২)। 

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে তিনটি চাকু, দুটি চাপাতি, দুটি রড, তিনটি চেইন, তিনটি স্প্রে কালার বোতল, দুটি স্কুল ব্যাগ ও চার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আদনান হত্যায় সম্পৃক্ত ছিল বলে জানিয়েছে। 

তিনি আরও জানান, আটককৃত ৮ আসামির মধ্যে ডিসকো বয়েজ গ্যাং গ্রুপের প্রধান সেতুসহ দুইজন ও বিগবস গ্যাং গ্রুপের প্রধান ছোটনসহ ছয়জন রয়েছে। এদের মধ্যে ছোটনের নামে আগে থেকে থানায় মামলা রয়েছে। সেতু বর্তমানে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র ছাত্র। তার বাবা এয়ারপোর্টের একজন সিঅ্যান্ডএফ’র এজেন্ট। সে উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আদনান কবীর, ছবি-সংগৃহীত

ডিসকো গ্রুপের অপর সদস্য জুইস উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা একজন মুদি দোকানি। 

মুফতি মাহমুদ খান জানান, বিগবস গ্রুপের আটককৃতরা নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে ছোটন ইউনিক এডুকেয়ারের ১০ শ্রেণির ছাত্র, সুমন এসএসসি পাশ। আর অন্যদের মধ্যে সানি ইজিবাইক চালক, সেলিম গার্মেন্টসে চাকরি করে, রমজান সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া ব্যবসায়ের কর্মচারী আর শাহীন ট্রান্সপোর্টে চাকরি করে। 

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডে ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আদনান কবীরকে খেলার মাঠে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে প্রতিপক্ষ। আহতাবস্থায় তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  এ ঘটনায় আদনানের বাবা কবীর হোসেন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

/এনএল/এআর/এপিএইচ/