‘চ্যালেঞ্জ নিয়েই ২৪ ঘণ্টা নির্যাতিত নারীদের সেবা দিচ্ছি’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিনঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিয়েই নির্যাতিত নারীদের ২৪ ঘণ্টা মানবিক সেবা দিচ্ছি। আমরা যে মানবিক পুলিশিংয়ের কথা বলছি, তারই অংশ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। আমরা নির্যাতিত নারীদের পাশে আছি।’ বুধবার তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।

নির্যাতিত নারীদের সহায়তা ও সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে ডিএমপি। যা এখন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন নামে ডিএমপি’র বিশেষ একটি ইউনিট হিসেবে কাজ করছে। গত দুই বছর ধরে এই ইউনিটের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ফরিদা ইয়াসমিন।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘এখানে কর্মরত নারী পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টাই নির্যাতিত নারীদের সেবা দিয়ে থাকেন। ডিএমপির ৪৯ থানায় স্পর্শকাতর মামলাগুলোর তদন্ত করে থাকি। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি ‘

উপ-কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা অনেক বড় এলাকা, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নারী অফিসাররা পুরো ঢাকার শহর কাভার করছেন। একটু লজিস্টিক সাপোর্টের ঘাটতি রয়েছে। তবে ন্যাচারাল যে সমস্যা তাকে আমরা সমস্যা মনে করি না।’

উপ-কমিশনার আরও বলেন, ‘পারিবারিক সহিংসতার মামলাগুলো এখানে বেশি। নিজের পরিবারের সদস্য দ্বারাই নির্যাতিত নারীরা আমাদের কাছে সহযোগীতার জন্য আসেন। এই সংখ্যাই বেশি। এমন কিছু বিষয় আছে যা ফৌজদারি অপরাধ না। পারিবারিক সুরাক্ষা আইনে করা উচিৎ। আমরা সেগুলোও সমন্বয় করার চেষ্টা করি।’

ফরিদা ইয়াসমিন জানান, পুলিশের চাকরি তার প্রথম পছন্দ ছিল। এখানে কাজ করতে তার ভালো লাগে। নারী হয়ে নারীদের সমস্যার কথাগুলো সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন, তাদের সহযোগিতা করতে পারছেন এটাই বড় ব্যাপার। তিনি বলেন, ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ দশটি সহযোগী এনজিও তাদের কাউন্সেলর, চিকিৎসক, আইনজীবী, মনোচিকিৎসকদের মাধ্যমে অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশে ভিকটিমদের প্রণোদনামূলক,  আইনগত ও পুনর্বাসন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ভিকটিমদের সংকটের সময় আবাসিক সুবিধা, তাৎক্ষণিক সহায়তা যেমন- মেডিকেল, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং, সংকটকালীন সর্বোচ্চ ০৫ (পাঁচ) দিন পর্যন্ত আশ্রয়ের সুবিধা, ভিকটিমের খাবার ও নিরাপত্তামূলক পরিবেশ প্রদান, হারানো শিশুদের অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর, অভিভাবক না পাওয়া গেলে এনজিওতে পূনর্বাসনের জন্য প্রেরণ। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য, আইনজীবী, কাউন্সেলর, ডাক্তার কর্তৃক নারীবান্ধব পরিবেশে সেবা প্রদান করা হয়।

তিনি জানান, বর্তমানে ডিএমপির এই বিশেষ শাখায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ৬৮ জন নারী সদস্য কাজ করছেন।

/এআরআর/এএ/