ব্যাংকঋণে জামানতের পরও চেক নেওয়া অবৈধ নয় কেন: হাইকোর্ট



সুপ্রিম কোর্টবেসরকারি ব্যাংকে জামানত রাখার পরেও ঋণের বিপরীতে ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে চেক নেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটকারীর আইনজীবী মিজানুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, যমুনা ব্যাংকের এমডি, কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট আদালত ও যমুনা ব্যাংকের লাকসাম শাখাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কুমিল্লার ব্যবসায়ী আবু মো. ইউসুফ ২০১২ সালে যমুনা ব্যাংকের লাকসাম শাখা থেকে স্থাবর সম্পত্তি জামানত এবং সিকিউরিটি চেক জমা রেখে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি ঋণ খেলাপি হওয়ায় ২০১৫ সালে যমুনা ব্যাংক তার বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে চেক প্রতারণার মামলা করে। ওই মামলায় কুমিল্লার বিচারিক আদালত গত বছরের ২৬ জুন অভিযোগ গঠন করেন।’
মিজানুল হক আরও জানান, ‘অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৫(১) মতে, অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক, উপ-ধারা (৫) ও (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায় সম্পর্কিত যাবতীয় মামলা ধারা-৪-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত, ঘোষিত বা গণ্য হওয়া অর্থ ঋণ আদালতে দায়ের করতে হবে। ওই আদালতেই মামলার নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু যমুনা ব্যাংক অর্থ ঋণ আদালতে মামলা না করে এনআই অ্যাক্টে মামলা করে। এছাড়া স্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখে। এ কারণে সিকিউরিটি চেক নিয়ে করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়েছে।’
রিটকারীর আইনজীবী বলেন, ‘এ রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন। রুলে প্রাইভেট (তফসিলি) ব্যাংক কর্তৃক জামানতি ঋণের বিপরীতে পোস্ট ডেইটেট ও আনডেইটেড চেক সিকিউরিটি হিসেবে নেওয়া কেন অবৈধ ও এখতিয়ার বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে আবু মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে চলমান মামলার কার্যক্রম কেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন রুলে।’
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলে রাব্বি খান।
ইউআই/ এমএনএইচ/