৭ মে পর্যন্ত সময় পেলেন মুসা বিন শমসের

 

মুসা বিন শমসের (ফাইল ছবি: সংগৃহীত)শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে মুসা বিন শমসেরের দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। তাকে ৭ মে রবিবার বিকেল ৩টায় হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। শনিবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৯ এপ্রিল) শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতের হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তিনি ৩ মাসের সময়ের আবেদন করেন।

এই প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টার মধ্যে শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিল মুসা বিন শমসেরের। কিন্তু ১৯ এপ্রিল অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি ৩ মাস সময় চেয়ে আাবেদন করেন। তার আবেদনের ফলে দুই সপ্তাহ সময় পিছিয়ে আগামী ৭ মে বিকেল ৩টার মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে।’

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মুসা সময় চেয়েছেন উল্লেখ করে শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা তাকে সময় দিয়েছি। কিন্তু এরপর যদি তিনি না আসেন, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সময়ের আবেদনে মুসা বিন শমসের উল্লেখ করেন, ‘আমি খুব অসুস্থ। আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।’ এ কারণে নির্ধারিত তারিখে ‍উপস্থিত হতে পারবেন না বলেও তিনি জানান। তার এই আবেদনের পর দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২১ মার্চ গুলশান ২-এর রোড নম্বর ১০৪ হাউস ৮ এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। গাড়িটি ভোলা বিআরটিএ থেকে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দিয়ে ফারুকুজ্জামানের নামে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়।  আটককালে গাড়ির নম্বর ভোলা ঘ ১১-০০৩৫ হিসেবে পাওয়া যায়।  গাড়ির চেসিস অনুসারে এটি কার্নেট ডি প্যাসেজের মাধ্যমে আনা হলেও শর্ত মোতাবেক পুনঃরফতানি হয়নি।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মুসা বিন শমসের গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করেন।  এতে তিনি ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা শুল্ক কর ফাঁকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত দলের কাছে হাজির হওয়ার জন্য গত ২৩ মার্চ তাকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে মুসা বিন শমসেরের প্রতিষ্ঠান ‘ডেটকো’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাড়িটি তিনি ভাড়ায় চালিয়ে আসছিলেন।

আরজে/এমএনএইচ/