‘ভাইরে মাথায় খেলে নাই, আগে বুঝলে নিজেই ছেলেকে পুলিশে দিতাম’ (অডিও)

আপন জুয়েলার্স-এর মালিক ও সিফাতের বাবা দিলদার আহমেদবনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার আসামিদের একজন সাফাত আহমেদের বাবা দিলদার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ভাইরে, আমি আগে বুঝি নাই যে বিষয়টি নিয়ে এত চাপ সৃষ্টি হবে। এতদূর গড়াবে। বুঝলে আমি নিজেই আমার ছেলেকে পুলিশে দিতাম। তখন আমার মাথায় খেলে নাই। আমিতো আইনের লোক না। আইন বুঝি নাই।’ 

সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ আপন জুয়েলার্স-এর মালিক। মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সাফাতকে ধরতে গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর সড়কে তাদের বাড়ি ‘আপন ঘর’-এ পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পর দিলদার আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি যখন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তখনও পুলিশের তল্লাশি চলছিল।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এত কিছু হবে আগে ভাবিনি। এখন মনে হচ্ছে আমি আমার ছেলেকে আগেই পুলিশে দিলে ভালো করতাম। তাহলে এত কিছু হতো না। এখন তো অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। ছেলে কোথায় আছে জানি না। গতকাল (সোমবার) সকালে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে, আর খোঁজ নাই। আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নাই।’

প্রভাব খাটিয়ে এবং ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

পুলিশ কি আপনার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে?

-জ্বী

আপনার ছেলে কোথায়?

-দু’একদিন বাড়িতে এসেছে, আবার চলে গেছে। গতকাল (সোমবার) সকালে যে গেছে আর আসেনি। আমি জানি না কোথায় আছে।

আপনিই তো ছেলেকে পুলিশে দিতে পারতেন, তল্লাশিকি দরকার ছিল?

-আমিতো পুলিশে দিতে পারতাম। এখন কী করবো, ভাইরে আমি কী করবো? দিয়ে দেওয়াটা ভালো ছিল। আমিতো আইনের লোক না। এত কিছু বুঝি নাই।

আপনিতো বলেছিলেন প্রমাণ হওয়ার আগে কিছু হবে নাকেন বলেছিলে?

-হ্যাঁ, বলেছিলাম । প্রমাণ হতে তো সময় লাগে। তাই না? রেপ কেসতো ১২ ঘণ্টার মধ্যে হয়, একমাস পরে হয় না। তাই না? সেখানে মেডিক্যাল টেষ্ট দেওয়া হয়েছে। টেস্টে কি আসে জানি না। যদি টেস্টে প্রমাণ হয় তাহলে তো অপরাধী। আর ভালো আসলে তো গিল্টি না।সাফাত আহমেদ

সেটা তো আপনার চিন্তাকিন্তু এখন কীমনে হয়, ধরিয়ে না দিয়ে কি ঠিক করেছেন?

-আমি বুঝি নাই আসলে। আমার মাথায় খেলে নাই। আমিতো আইনের লোক নই। জিনিসটা আমি হ্যান্ডওভার করলেই ভালো হত।

এমন কিহয়েছে আপনার অর্থ বিত্ত দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন?

-এসব রাষ্ট্রীয় ব্যাপার ধামাচাপ দেওয়া যায় না। কিছু কিছু রাষ্ট্রীয় ব্যাপার ধামাচাপা দেওয়া যায় না।

২৫ লাখ টাকা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ঠে...

-না না। ২৫ কোটি টাকা দিয়েও ধামাচাপা দেওয়া যায় না। এসব কথা বলেতো লাভ নাই। এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার।

আপনি যদি এই মেয়েদের বাবা হতেন, তাহলে কী অনুভূতি তো?

-আমার ছেলে ব্ল্যাক মেইলের শিকার। তার সাবেক স্ত্রী ওই দু’টি মেয়েকে থানায় নিয়ে গেছে।

আপনি কি আপনার ছেলেকে ধরিয়ে না দিয়ে ভুল করেছেন?

-আইনের দৃষ্টিতে এতটা বুঝি নাই । যদি বুঝতাম তাহলে হয়তো আমি সে ভাগার (পালিয়ে যাওয়ার) আগেই ধরিয়ে দিতাম।

এখন কি ভুল মনে হচ্ছে আপনার আগের সিদ্ধান্ত?

-এতটা জোরালো হবে আগে বুঝি নাই।

/এইচইউআর/এফএস/টিএন/