পলাতক থেকেও সক্রিয় ছিল ধর্ষণ মামলার আসামিরা

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সঠিক বলে নিশ্চিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পলাতক থেকেও প্রভাবশালী আসামিরাও থেমে ছিল না। এজন্য আসামিদের বিভিন্ন সিন্ডিকেট নানা পরিচয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীদের চরিত্র হননের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

বনানীর রেইন ট্রি রেস্টুরেন্টে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবকবৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর জবানবন্দীতেও একই তথ্য পাওয়া গেছে। জব্দ করা আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতির পাওয়ার পর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নারী কর্মকর্তারাও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তৎপর হয়ে উঠেছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসামিরা কৌশলে বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার তরুণীদের ছবি প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করে। তারা যেন প্রকাশ্যে বিচার চাইতে না পারে কিংবা সামাজিক, পারিবারিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, সেইজন্য ধূর্ত আসামিরা তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অপপ্রচারে নামে।

এদিকে, ধর্ষণ মামলার দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যার পর সিলেট থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।

জানতে চাইলে মামলার ছায়া তদন্তকারী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আসামিরা একসঙ্গে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করলেও পরে কৌশল বদলে ফেলে। তারা দুই তিনভাগে ভাগ হয়ে পৃথক পৃথক জায়গায় আত্মগোপন করেছিলো।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অপপ্রচার চালিয়ে ঘটনা ভিন্নদিকে নেওয়ার সুযোগ নেই। সামাজিকভাবে কাউকে হেয় করার চেষ্টাকারীদের প্রতি আমরা সজাগ রয়েছি। প্রয়োজনে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

/এসএমএন/এমও/