যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত মানবাধিকার সংগঠন আরএফকে সেন্টার–এর প্রধান এবং রবার্ট এফ. কেনেডির কন্যা ক্যারি কেনেডি বাংলাদেশের আলোচিত গোপন নির্যাতন কেন্দ্র আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন আট বছর ধরে বন্দি থাকা মীর আহমাদ বিন কাশেম–এর সঙ্গে।
বুধবার (১৪ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাশেম শেখ হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার হন। মঙ্গলবার (১৩ মে) আয়নাঘরে তাদের সাক্ষাতের সময় নিজের বিভীষিকাময় বন্দিজীবনের কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন মীর আহমাদ। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি ক্যারি কেনেডিও। তিনি মীর আহমাদকে সান্ত্বনা দেন এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা তার অমানবিক বন্দিত্বের কথা শোনেন।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সোচ্চার ছিলেন ক্যারি কেনেডি। তার নেতৃত্বে আরএফকে সেন্টার বারবার বাংলাদেশ সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্যারি কেনেডি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চাপই মীর আহমাদ বিন কাশেমকে জীবিত রাখার অন্যতম কারণ ছিল।
ক্যারি কেনেডি এসময় বলেন, ‘আয়নাঘর শুধু একটি জায়গা নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতীক। মীর আহমাদের মতো মানুষরা আমাদের প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’
এই সাক্ষাৎ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।