'এএসপি মিজানুরের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন'

এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারহাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে তার ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. প্রদীপ বিশ্বাস। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমরা লাশের ভিসেরা সংরক্ষণ করেছি। নিহত মিজানের শরীরের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

ড. প্রদীপ বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘নিহত মিজানের গলার চারপাশে একটা গোল কালো দাগ ছিল। শরীরে সাইনাসিস ছিল। মাথায়, বাম হাতে ও দুই পায়ে লাঠি বা শক্ত কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দুই গাল ও বুকের ওপরের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। যেসব জায়গায় আঘাত করা হয়েছে সেখানে রক্ত জমে গিয়েছিল। তবে তার চোখ ঠিক ছিল। শরীরে কোনও বিষাক্ত পদার্থ আছে কিনা সেজন্য তার ভিসেরা (লিভার, কিডনি, স্টোমাক) সংরক্ষণ করেছি।’

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আরও জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী ভিসেরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই সেগুলো মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠাবে। সেখান থেকে প্রতিবেদন আসলে সেগুলো তারাই আমাদের কাছে জমা দেবে।’

মিজানুর রহমানের ছোটভাই মাসুম তালুকদার জানান, তার ভাইয়ের প্রথম জানাজা হবে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, দ্বিতীয় জানাজা হবে আশকোনায়। এরপর টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ভুয়াপুরে তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর রূপনগর থানাধীন মিরপুর বেড়িবাঁধের বোটক্লাব এলাকার রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা একটি ঝোপে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ডিএমপির রূপনগর ও সাভার থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।


/আরজে/এমএ/এআর/জেএ/বিএল/এফএস/

আরও পড়ুন- হত্যার পর এএসপির লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা