গত বছরের আগস্টে সাতক্ষীরার সদর থানা থেকে নিখোঁজ হন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শেখ মোখলেছুর রহমান জনি। স্বামীর সন্ধান চেয়ে পুলিশসহ অনেক জায়গায় ঘুরে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে রিট করেন জেসমিন। এর মধ্যে জনির নিখোঁজের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়। তারপরও তার সন্ধান মেলেনি। রবিবার আদালত ফের তদন্তের মাধ্যমে জনিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) দিয়ে এ পুনঃতদন্ত করাতে বলেছেন আদালত।
জেসমিন জানান, নিখোঁজের পরদিন ৫ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় গিয়ে হাজতখানায় জনিকে দেখতে পান। কেন তাকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে ওই থানার এসআই হিমেল বলেন, জনি অপরাধী কিনা—তা এখনই বলা যাবে না। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেলে তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে আর নির্দোষ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে। জেসমিন বলেন, ‘এরপর তিনদিন আমার স্বামীকে থানায় আটকে রাখা হয়। আমরা প্রতিদিন তাকে খাবার দিয়ে আসতাম। চতুর্থদিন যখন আবার যাই,তখন পুলিশ বলে, “জনি থানায় নেই, কোথায় গেছে তা আমরা জানি না। তাকে আমরা গ্রেফতার করিনি।” এরপর আমি ওসি, এসপিসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও কোন সাড়া পাইনি। পরে ২৪ আগস্ট আমি পুলিশ সুপারের কাছে দরখাস্ত করি। সংবাদ সম্মেলনও করি। এর আগে থানায় জিডি করতে গেলেও তা নেয়নি পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনের পর আমি হাইকোর্টে রিট করি। আদালত বিষয়টি নিয়ে আদেশ দেন।’
এমটি/এএম/