মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত এপ্রিল মাসে চাপাইনবাগঞ্জে অপারেশন ঈগল হান্টে ৪ জন জঙ্গি নিহত হয়। চার জনের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল তখনই। সে ওই এলাকার ছিলেন। তার নাম আবু। বাকি তিনজনের পরিচয় এতদিন অজ্ঞাতই ছিল। সম্প্রতি জঙ্গি মাহফুজ গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদকালে সে জানা যায়, সেখানে জঙ্গি বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট বাশার ও ছোট মিজান নিহত হয়েছে। জঙ্গি বাশারের ছবি আমাদের কাছে আগেই ছিল। পরবর্তী সময়ে আমরা তার ছবি ওই লাশের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি। দাড়ি ছাড়া ও দাড়িসহ মিলিয়ে দেখেছি, নিহতের চেহারার সঙ্গে জঙ্গি বাশারের চেহারার অনেক মিল রয়েছে। একইসঙ্গে জঙ্গি মাহফুজের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝতে পেরেছি, সেখানে জঙ্গি বাশারুজ্জামান চকলেট ও ছোট মিজান নিহত হয়েছে।’
গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহনী শিবনগর গ্রামে অভিযান চালায় সিটিটিসি ইউনিট। দুই দিনের অভিযান শেষে সিটিটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযানে চার জঙ্গি নিজেরাই আত্মঘাতী হয়ে মারা গেছে। ওই বাড়িতে আবু নামে এক জঙ্গি থাকতো। অভিযানের সময় সোয়াট সদস্যরা ওই বাসা থেকে এক নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজানে হামলার দুই পরিকল্পনাকারী নিহত!
/এআরআর/এমএনএইচ/