পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মোশতাক ১০ বছর আগে অবৈধভাবে তুরস্ক যায়। তুরস্কে সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়। সে বিদেশে থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিও, গার্মেন্টস ও ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করে। সে দেশে ফিরে আসে পাঁচ বছর আগে।’
তিনি জানান, দেশে থাকা দুটি এনজিও রোহিঙ্গা মুসলিম ও আল কাওসার ছাড়াও বেশকিছু এনজিও’র মাধ্যমে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা লেনদেন করে মোশতাক। তার জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে চাইলে মোল্লা নজরুল বলেন, ‘তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, অবৈধভাবে অর্থের লেনদেন, তুরস্কে থাকাকালীন বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে জঙ্গিবাদের অর্থায়নে তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আমরা ধারণা করছি।’
মোল্লা নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলার সন্ধান পেয়েছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও মারামারির মামলা। তুরস্কে যাওয়ার আগে সে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও জানা গেছে। টাকা লেনদেনের উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে না পারায় সোমবার (৭ আগস্ট) মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
উল্লেখ্য সোমবার রাত ৮টার দিকে সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে মোশতাক খাকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় সিআইডি।
/আরজে/এফএস/