আবারও ইমরান এইচ সরকারের ওপর হামলা

ডা. ইমরান এইচ সরকাররাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। এ নিয়ে টানা দুই দিন দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র। 
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারে নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদারের দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন করে গণজাগরণ মঞ্চ। এর একপর্যায়ে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। সেই হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে শাহবাগে সমাবেশ ডাকে সংগঠনটি। এ কর্মসূচি শেষে আবার হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হলো।
দ্বিতীয়বার হামলার মুখে পড়ার ঘটনা জানাতে গিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘পুলিশ আমাদের আজকের প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এটি অপ্রত্যাশিত ও ফ্যাসিবাদী আচরণ। এখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে আমরা বাসার দিকে চলে যেতে থাকি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যেতেই কিছু অপরিচিত যুবক আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ অনেকে আহত হয়েছি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাঁশ, লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ইমরান এইচ সরকার ও গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। সারাদেশের বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারের দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন শেষে ওই ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় সরকারের মদদ থাকতে পারে বলে মনে করছেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘গতকাল হামলার সময় পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকা এবং আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হামলার পেছনে সরকারের মদদ আছে বলে আমরা মনে করি। গতকালের হামলাকারীদের একজনের দৌড়ে পালানোর সময় রাস্তায় পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি আমরা পুলিশকে দিয়েছি৷ সেখানে ওই হামলাকারীর ছবি রয়েছে। পুলিশ চাইলেই তাদের খুঁজে বের করতে পারে।’

হামলাকারীদের কাউকে চিনতে না পারায় গতকাল শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) কাউকে আসামি করা হয়নি বলে জানান গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি জানান, তাদের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। শনিবার (১৯ আগস্ট) ত্রাণ নিয়ে কুড়িগ্রামের বন্যাদুর্গত অঞ্চলে যাবে গণজাগরণ মঞ্চ।
/এসএমএ/জেএইচ/