শাহজালালে ঘুষের অপরাধে ধরা পড়ায় রিজেন্টের যাত্রী ও কর্মকর্তাকে জরিমানা

রিজেন্ট এয়ারঘুষ দেওয়া ও নেওয়ার অপরাধে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানব্ন্দরে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের এক যাত্রী ও এক কর্মকর্তাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রিজেন্টের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ অফিসার সেলিম মোরশেদকে ঘুষ নেওয়া ও কর্তব্যকাজে অবহেলার অভিযোগে ২৫ হাজার টাকা এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যাত্রী জহিরউদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই আদেশ দেন।

বিমানবন্দর সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, রবিবার রাত ৯টায় সিঙ্গাপুর থেকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের (আরেএক্স ৭৮৫) ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন জহিরউদ্দীন। এই এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের ব্যাগেজ ডেলিভারি হচ্ছিল শাহজালালের ৭ নম্বর আগমনী বেল্টে। জহিরউদ্দীন তার দুটি ব্যাগ সংগ্রহ করলেও ট্যাগ প্রদর্শন করতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি জানান, ট্যাগ হারিয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীকে অফিসে গিয়ে সিস্টেম ডাটার বিপরীতে এন্ট্রি ট্যাগের সঙ্গে ব্যাগের ট্যাগ চেক করে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে তার ব্যাগেজ কিনা।

কিন্তু যাত্রী জহিরউদ্দীন এসব ঝামেলা এড়ানোর জন্য রিজেন্টের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ অফিসার সেলিম মোরশেদকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ব্যাগের ট্যাগ চেকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। যাত্রীর কাছ থেকে ঘুষ পেয়ে চেক না করেই ব্যাগ ছেড়ে দেন এই কর্মকর্তা।

সূত্র আরও জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানব্ন্দরের সিসি ক্যামেরায় ডিউটিরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য সাজেদুর রহমান ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। এরপর আসামি হিসেবে রিজেন্টের কর্মকর্তা মোরশেদ এবং সাক্ষী হিসেবে যাত্রী জহিরকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে এপিবিএন সিভিল টিম।

আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিজেন্টের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ অফিসার সেলিম মোরশেদকে ঘুষ নেওয়া ও কর্তব্যকাজে অবহেলার অভিযোগে ২৫ হাজার টাকা এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যাত্রী জহিরউদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। এ কাজে লিপ্ত হওয়ায় উভয়ের জরিমানা হয়েছে। রিজেন্টের কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ অফিসার সেলিম মোরশেদকে ঘুষ নেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ঘুষ দেওয়া অভিযোগে যাত্রী জহিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ঘুষ নিয়ে ট্যাগ চেক না করে কর্তব্যকাজে অবহেলার কারণে রিজেন্টের কর্মকর্তাকে আরও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দু’জনকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

/সিএ/জেএইচ/আপ-এআর/