হাতে ‘ব্লু হোয়েল আঁকা’ কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

লাশ উদ্ধাররাজধানীর মিরপুরে টিনসেট বাসা থেকে হাতে ‘ব্লু হোয়েল আঁকা’ এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরটির নাম সাইম দেওয়ান (১৫)। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ  লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মিরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) আতিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে  এস আই আতিকুর রহমান জানান, ‘‘মিরপুরের ৭৬০ পশ্চিম কাজীপাড়া মসজিদ গলির টিনসেট বাসার ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় সাইম দেওয়ানের লাশ ঝুলছিল। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বাম হাতের কব্জি থেকে কনুইয়ের মাঝামাঝি স্থানে সুই জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে ‘ব্লু-হোয়েল আঁকা’ ছিল।’’  তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেলে মেসেজ দেওয়া-নেওয়ার করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া অন্য কোনও কারণে মারা গেছে কিনা বা তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’

সাইম দেওয়ানের (১৫) গ্রামের বাড়ি মুন্সীগন্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈইখালী গ্রামে। তার বাবার নাম দেওয়ান বাবু। মায়ের নাম সাবিনা আক্তার।

এ বিষয়ে  সাইমের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

সাইমের ফুফাতো ভাই আরাফাত হোসেন বলেন, ‘সাইম ৬ষ্ঠ শ্রেণিপর্যন্ত পড়াশুনা করে একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল বড়।

এদিকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের  জানান, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এছাড়া তার কিছু টিস্যু, ভিসেরা ও রক্ত সংরক্ষণ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এ সব রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. প্রদীপ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘অনেকের শরীরে একটু আঁকা পাওয়া যায়, প্রজাপতি, ফুল, নামের আদ্যাক্ষর, নাম। তবে এর আগে এ রকম তিমির আকৃতির কিছু পাইনি।’ 

ময়নাতদন্ত শেষে সাইমের বাবা তারা লাশ  নিয়ে যান বলেও জানান ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।